এক্সট্রাকশন : কন্টেন্ট বাণিজ্যের নগ্ন রাজনীতি
মিউজিক সুপারভাইজার হিসাবে দুই জনের নাম দেখতে পেলাম মনিষ রাভাল আর টম উলফ। আর মিউজিক ডিরেক্টরও দুইজন— হেনরী জ্যাকম্যান এবং এ্যালেক্স বেলচার।
নাম দেখেই বুঝতে পারছেন একজন মিউজিক সুপারভাইজার ভারতীয়। তিনি সম্ভবত মনে করেছেন যাহাই মুম্বাই, তাহাই ঢাকা। এই কারণেই সম্ভবত ঢাকার ঘরে ঘরে হিন্দি গান শুনতে পেলাম! তাছাড়া ভারত সবসময় নিজেদেরকে আমাদের প্রভু জ্ঞান করতে চেয়েছে, তারা সবসময় ভেবে আনন্দ পায় আমরা তাদের প্রতি সাংস্কৃতিক ভাবে নির্ভরশীল এবং নিয়ন্ত্রিত। নেটফ্লিক্স খুব সংগত কারণেই ভারতকে খুশী রাখতে চাইবে কারণ প্রায় দেড়শ কোটি জনগণের দেশের সাবস্ক্রিপশন বেইজকে সমীহ না করবার মতো বোকা তারা নয়!
বলছিলাম ২৪ এপ্রিল ২০২০ এ মুক্তি পাওয়া এ্যাভেঞ্জারস, ডেডপুল এর মতো সুপার হিরো চলচ্চিত্রে স্টান্ট ম্যান হিসাবে কাজ করা স্যাম হারগ্রেভ পরিচালিত এবং সুপার হিরো থর চরিত্রে অভিনয় করা ক্রিস হ্যামসওয়ার্থ অভিনিত নেটফ্লিক্স অরিজিনাল এক্সট্রাকশনের কথা। এমনিতেই সন্ত্রাসবাদের চলচ্চিত্র আমি স্বমর্থন করি না, দেখিও না খুব একটা। মানুষ মানুষকে নির্দয় ভাবে মারছে, মানুষ মারার নানারকম প্রযুক্তি আর ফাঁদ, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ ভাবে একটা সমাজকে নিষ্ঠুরতায় মানসিক ভাবে অভ্যস্ত করার চলচ্চিত্রকে আমার কখনোই নিরীহ বিনোদন মনে হয় না।
ফলে আমার এক্সট্রাকশন দেখার কথা নয়! কিন্তু একরকম ব্যাধ্য হয়ে দেখলাম দুটো কারণে। প্রথমত ছবিটা আমাদের রাজধানী শহর ঢাকাকে কেন্দ্র করে, দ্বিতীয়ত সাধারণ দর্শকের তীব্র সমালোচনার কারণ জানবার কৌতুহল। সব থেকে বড় কথা একজন সচেতন চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে সিনেমার পেছনের রাজনীতি বোঝার চেষ্টা করাটাও আমার দায়িত্বের মধ্যেই পড়ে বলে আমি মনে করি।
এক্সট্রাকশন কেমন ছবি এটা নিয়ে বিস্তারিত আলাপ বা সূক্ষাতিসূক্ষ বিশ্লেষণের আসলে সুযোগ নেই। অনন্তকাল ধরে ভুরি ভুরি হলিউড বা বলিউড এ্যাকশন ছবিতে এ সমস্ত মারপিট আর উদ্ধারকার্য আমরা দেখে আসছি। বরং এখনকার তামিল বা কিছু হিন্দি এ্যাকশন ছবি এর থেকে অনেক উন্নত!
তাহলে এক্সট্রাকশন নিয়ে কথা বলাটা কেন জরুরি?
জরুরী কারণ বর্তমান সময়ে Cyber security, Digital Manipulation, Intention of the content নিয়ে না ভাবলে ভবিষ্যতে পস্তাতে হবে।
End credit দেখে বুঝলাম যথারিতি অনেক গোছানো টিমওয়ার্ক, যা এই ধরণের ছবিতে অনিবার্য।
অথচ আমাদের সিনেমা বানাতে একটা ড্রোন উড়াতে হাজারটা অনুমতি লাগে! পুলিশের পোশাক পরিয়ে কোন দৃশ্য তৈরি করতে গেলে পুরো চিত্রনাট্য জমা দিয়ে অনুমতি নিতে হয় আমাদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগে স্ক্রিপ্ট পড়ে দেখেন পুলিশকে কোথাও হেয় করা হয়েছে কিনা, বা দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী কিছু আছে কিনা, তারপরে অনুমতি মেলে! আমাদের সিনেমা বানাতে পদেপদে বাঁধা। ব্যাক্তিপর্যায়ে কোন আদর্শের বলাই নাই, কিন্তু সিনেমাতে সব কিছু নিষ্পাপ দেখানো চাইই চাই।
বিস্মিত হবার মতো বিষয় হলো (যদিও আমি বানিজ্যের রাজনীতি মোটামুটি বুঝি বলে বিস্মিত নই) ছবিটি ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে (শুটিং যেখানেই হোক না কেন, ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে বানানো ছবি এটি)। অথচ প্রোডাকশন ডিজাইনে ঢাকাকে কোন ধর্তব্যর মধ্যেই রাখা হয়নি! প্রোডাকশন ডিজাইনার ফিল আইভি প্রয়োজনই বোধ করেননি ঢাকা শহর নিয়ে স্টাডি করার। আপনাদের কী মনে হয় তিনি দুর্বল মানের প্রোডাকশন ডিজাইনার, ডিটেইলিংয়ে দুর্বল? ইদের সময় আপনি যখন গৃহকর্মীর জন্য পোষাক কিনতে যান আপনি কি তার পছন্দ অপছন্দের তোয়াক্কা করেন? আপনি আপনার ইচ্ছে-খুশি মতো পোষাক কিনে এনে তাকে বলেন—‘এটা পর’। সুতরাং সেই একই কারণে ঢাকা শহরের প্রোডাকশন ডিজাইন এই ছবিতে গুরুত্ব পায়নি ভবিষ্যতেও পেতে যাচ্ছে না। বর্তমান বিশ্বে ব্যবসা হলো সংখ্যাতত্ত্বের জিনিস। সেই সংখ্যাতত্ত্বে আমরা হয়ত এখনো ধর্তব্যের মধ্যে পড়িনা।
এক্সট্রাকশন চলচ্চিত্রে থাইল্যান্ড শুটিং এর জন্য আলাদা প্রোডাকশন টিম এবং ভারতে শুটিং এর জন্য আলাদা প্রোডাকশন টিম। অথচ গল্প যে ঢাকা শহরকে কেন্দ্র করে সেটির কোন আলাদা প্রেডাকশন টিমই নাই! কারণ তুমি দরিদ্র রাষ্ট্র তুমি যে দৃষ্টিতে তোমার দেশ বা শহরকে দেখ তা আমাদের দেখবার বিষয় নয়, এখন থেকে আমরা যা দেখাব সেটাই তোমার দেশ বা শহরের বাস্তবতা! এই আমিটা হলো বিশ্বমোড়ল আমেরিকা! তার চোখে বাংলাদেশ যেমন সেটাই বাংলাদেশ! এটা কেবল চলচ্চিত্রে নয়, শিল্প সাহিত্য সবখানে! এ্যান্ডি পার্কস, জো রুশো আর ফারনান্দো লিও গঞ্জালেজ এর কমিকবুক সিউদাদ থেকে নেওয়া গল্পের চিত্রনাট্যকার জো রুশো অনেক আগেই তাদের কমিকবুকে যে শহরটাকে Worst city on earth বলে রেখেছেন সেটার জন্য প্রকৃষ্ট শহর হিসাবে ঢাকাকে বেছে নেওয়া হয়েছে! আপনারা এখনো এইসমস্ত ঔদ্ধত্য ধরতে পারেন না দেখে হতাশ লাগলো। সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেককেই ক্ষুব্ধ মন্তব্য করতে দেখছি ‘এরপর ঢাকা শহরকে নিয়ে কিছু করলে ভালমত স্টাডি করে আসবেন’, আপনার আসলেই মনে হয়েছে এটা তাদের অনিচ্ছাকৃত ভুল বা দুর্বলতা! আপনারা কী কখনো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নেটফ্লিক্স প্রোডাকশন টিউটোরিয়াল পড়ে দেখেছেন? তাহলে বুঝতেন অনিচ্ছাকৃত ভুল করবার কোন সুযোগ সেখানে নেই! তাদের প্রতিটি প্রোডাকশনে অনেক দক্ষ রিসার্চ টিম থাকে। সে শ্রেফ বাংলাদেশকে ভারতের একটা অবহেলিত অশিক্ষিত প্রদেশ হিসাবে মুল্যায়ন করে কাজটা করেছে! নয়তো বাংলাদেশি টাকার প্রায় ৫৫২ কোটি টাকা বাজেটের ছবির মুল লোকেশনকে এতো হেলাফেলা করে দেখানোর কথা নয়। কই ছবির মুম্বাই অংশে তো কোন দুর্বলতা নেই! সেখানে তো সমৃদ্ধির কোন অভাব নেই! যেই ঢাকার গুলশান বনানীতে ২২-২৫ বছরের তরুণরা খেলনার মত জাগুয়ার, রেঞ্জরোভার বা ফেরারী চালায় সেই ঢাকা শহর তো দেখতে পেলাম না, নিদেন পক্ষে এক্স করোলা!
আমি উগ্র জাতীয়তাবাদী নই, কিন্তু কারো জাতীয়তায় ইচ্ছাকৃতভাবে আঘাত করলে আমি সেটার তীব্র নিন্দা জানাই, আর সেটা যদি আমার নিজের দেশের বিরুদ্ধে হয় তাহলে তো কোন কথাই নাই!
ভাবতে পারেন ঢাকা শহরের একজন সন্ত্রাসীর এতো ক্ষমতা যে সে চাইলেই পুরো শহর লকডাউন করে দিতে পারে! তার কথাতে RAB, পুলিশ, মিলিটারি ডেপ্লয় হয়! এবং একজন বিদেশী Mercenary একা এদেশের RAB, পুলিশ আর্মি সবাইকে ধরাশায়ী করে ফেলল! এলিটফোর্সের একজন বড় কর্মকর্তা একজন সন্ত্রাসীর কথামতো উঠছে বসছে, এবং এই দেশের এলিটফোর্সের বেহাল দশা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখানোর জন্য সেই কর্মকর্তা সবসময় তার বিভাগের ইউনিফর্ম পরে সন্ত্রাসীর সামনে ভৃত্যের মত আচরণ করে!
এই চলচ্চিত্র আমাদের জল, স্থল আকাশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। অস্ট্রেলিয়া থেকে একটা মার্সেনারি ট্রুপ বিনা বাঁধায় (পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া) ভারী অস্ত্রশস্ত্র, চপার, গোলাবারুদ নিয়ে যা খুশি তাই করে চলে গেল! তাও আবার এক ভারতীয় মাফিয়ার অপহরণকৃত সন্তানকে উদ্ধার করার সন্ত্রাসী ততপরতায় এদেশের সেনাবাহিনী পর্যন্ত নেমে গেল! কী তামাশা, একজন ভারতীয় ব্যক্তির স্বার্থ বনাম একটি দেশের সার্বভৌমত্ব!
অথচ আমাদের সিনেমা বানাতে একটা ড্রোন উড়াতে হাজারটা অনুমতি লাগে! পুলিশের পোশাক পরিয়ে কোন দৃশ্য তৈরি করতে গেলে পুরো চিত্রনাট্য জমা দিয়ে অনুমতি নিতে হয় আমাদের। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আগে স্ক্রিপ্ট পড়ে দেখেন পুলিশকে কোথাও হেয় করা হয়েছে কিনা, বা দেশের সার্বভৌমত্ব বিরোধী কিছু আছে কিনা, তারপরে অনুমতি মেলে! আমাদের সিনেমা বানাতে পদেপদে বাঁধা। ব্যাক্তিপর্যায়ে কোন আদর্শের বলাই নাই, কিন্তু সিনেমাতে সব কিছু নিষ্পাপ দেখানো চাইই চাই। ফলে এদেশের সিনেমার উন্নতির কোন আশা আমি দেখি না!
এই চলচ্চিত্র আমাদের জল, স্থল আকাশের সার্বভৌমত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। অস্ট্রেলিয়া থেকে একটা মার্সেনারি ট্রুপ বিনা বাঁধায় (পাসপোর্ট ভিসা ছাড়া) ভারী অস্ত্রশস্ত্র, চপার, গোলাবারুদ নিয়ে যা খুশি তাই করে চলে গেল! তাও আবার এক ভারতীয় মাফিয়ার অপহরণকৃত সন্তানকে উদ্ধার করার সন্ত্রাসী ততপরতায় এদেশের সেনাবাহিনী পর্যন্ত নেমে গেল! কী তামাশা, একজন ভারতীয় ব্যক্তির স্বার্থ বনাম একটি দেশের সার্বভৌমত্ব!
এবার আসা যাক বাংলাদেশকে ধর্তব্যের মধ্যে না ফেললেও নেটফ্লিক্স কেন বাংলাদেশের উপর ভিত্তি করে চলচ্চিত্র নির্মাণ করলো কেনই বা বাংলাদেশেকে নূন্যতম পাত্তা দিল না! এদেশে নেটফ্লিক্স সাবস্ক্রিপশন শুরু হয় ২০১৬ সাল থেকে। আনুমানিক ২,০০,০০০ পেইড সাবস্ক্রাইবার রয়েছে তাদের এদেশে। যে সংখ্যা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। বিনা বিনিয়োগে বাংলাদেশ থেকে নেটফ্লিক্সের বাৎসরিক আয় প্রায় ২১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা থেকে বাংলাদেশ সরকার ১ টাকাও কর পাচ্ছে না! সুতরাং নেটফ্লিক্সের এদেশের প্রতি সংগত কারণেই মনোভাব ‘না চাহিলে যারে পাওয়া যায়’। আমি যদি বিনা বাধায় আপনার কাছ থেকে বছরে ২১ মিলিয়ন ডলার উপার্জন করতে পারি, তাহলে আপনাকে পাত্তা কেন দিতে যাবো! অথচ এই দেশে আমরা যখন একটা সিনেমা বানাই তখন সরকারকে সিনেমার সিংহভাগ আয়কর হিসাবে দিয়ে প্রযোজকের পকেটে টাকা যাওয়ার আর কোন সুযোগ থাকে না! এদেশে গল্প নির্বাচন হাজারটা ফিল্টার বসিয়ে করতে হয় সেন্সরশিপের ভয়ে। আর বাকি পৃথিবী সিনেমাতে স্বাধীনভাবে যা খুশি তাই করছে! তাছাড়া এদেশের দর্শকেরও এদেশের সিনেমার প্রতি আগ্রহ নেই! কারণ খুব স্বল্প সংখ্যক মানসম্পন্ন সিনেমা এদেশে হয়ে থাকে। আর সুযোগ থাকলে দর্শক মানসম্পন্ন সিনেমাটাই বেঁছে নেবে, সেটাই স্বাভাবিক। তাই এই দেশে নেটফ্লিক্স বা এ্যামাজনের জয়জয়াকার!
যে কারণে নেটফ্লিক্স ভারতে অফিস খোলে, ভারতীয়দের কর্মসংস্থান হয়, এবং হিন্দি অরিজিনাল’স তৈরী হয় সেই একই কারণে বাংলাদেশে একটি টাকা বিনিয়োগেরও দরকার পড়ে না! এমনকি বাংলা ভাষার এ্যাক্সেন্টটাকেও গুরুত্ব দেওয়ার দরকার পড়েনা। বাংলাদেশি ভয়েস আর্টিস্টের পেছনে ২০ হাজার টাকা লগ্নি করতেও তারা রাজি নয়, Because this is a toll free country to them.
তথাপি ঢাকা শহর নিয়ে নেটফ্লিক্স হঠাৎ এমন একটা ছবি বানালো যে তারা নিশ্চিত ছিল এখন যে সমালেচনা হচ্ছে সেটা হবে। হিসাব খুব পরিস্কার, সমালোচনা যত তীব্র হবে ওয়াচটাইম আর সাবস্ক্রিপশন দুটোই বাড়বে। এমন তো নয় বাংলাদেশের মানুষ এতোটাই সচেতন বা দেশপ্রেমিক যে দেশকে অপমান করার অপরাধে দলে দলে আনসাবস্ক্রাইব করা শুরু করবে, আর সেটা কোন বাস্তব সম্মত পদ্ধতিও নয়। যে সমস্ত নির্মাতা একটা মাঝারি গোছের বিদেশি গ্র্যান্টের লোভে দেশকে মৌলবাদি, কুসংস্কারচ্ছন্ন হতদরিদ্র রাষ্ট্র হিসাবে রিপ্রেজেন্ট করতে দ্বিধা বোধ করে না, সাহস থাকেতো ভারত বা আমেরিকার কোন দূর্বলতা উপস্থাপন করে ছবি বানিয়ে দেখাক তো তারা! এই আপনারাই বিদেশিদের নজরে আসার জন্য নিজের দেশকে যারপর নাই নীচে নামাতে দ্বিধা করেন নাই নিজের সিনেমাতে। সেদিনও এদেশের এক অভিনেত্রী হলিউড অভিনেতা Jared Leto’র সাথে ভিডিও কলে কথা বলতে গিয়ে আহ্লাদে গদগদ হয়ে বলেই বসল— বাংলাদেশ খুব ছোট একটা দেশ তুমি হয়তো দেশটার নামই শোনোনি, ইন্ডিয়ার পাশের ছোট্ট একটা দেশ বাংলাদেশ! কী ভয়ানক মানসিক দৈন্যতা!
এদেশের কোন চলচ্চিত্র কান চলচ্চিত্রের ডিরেক্টর’স ফোর্টনাইটে নির্বাচিত হলে ধন্যি ধন্যি করেছেন, কন্টেন্টটা কী একবারও গভীর ভাবে ভাববার প্রয়োজনও বোধ করেন নাই! তো নিজেরাই সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রর নেক নজরে আসার জন্য নিজেদেরকে হেয় করেন আবার বিদেশিরা সেটা করলে বোকার মতো এটা তাদের নির্মাণ বা রিসার্চের দুর্বলতা বলে বসেন!
নেটফ্লিক্স যা চেয়েছে তাই পেরেছে। ভুলে যাবেন না আপনার আমার এই দাস সুলভ মানসিকতার কারণেই ভারতবর্ষের টাকায় ব্রিটিশ সাম্রাজ্য দাঁড়িয়ে গিয়েছে, তারা অবলীলায় ২০০ বছর আমাদেরকে শাসন করেগিয়েছে। আর নেফ্লিক্স তো সামান্য ব্যবসা করতে এসেছে। ব্রিটিশরাও সামান্য ব্যবসা করতেই এসেছিল এদেশে!
২৫.০৪.২০২০