

কে শক্তিমান কবি?
আজকে একটু শক্তিমান কবিদের নিয়ে কথা বলতে এলাম। শুরুতেই বলে নিই এটা একান্তই আমার পর্যবেক্ষণ, আমার উপলব্ধি।
তো, শক্তিমান কবি কে? ভালো কবি আর শক্তিমান কবির মধ্যে কিন্তু পার্থক্য বিদ্যমান। কালে কালে অনেকেই ভালো কবি থাকেন, কিন্তু শক্তিমান কবি থাকেন দুয়েকজন। দশকে দশকে এরা আসেন না। কয়েকদশক পর পর আসতে পারেন আবার নাও আসতে পারেন।
এইবার আসা যাক শক্তিমান আর ভালোর মধ্যে কী পার্থক্য সে বিষয়ে। ভালো কবির সংজ্ঞা তো সকলেই জানেন। তাই বলা বাহুল্য। শক্তিমান কবির সংজ্ঞাও অনেকেই জানেন। যেহেতু আমার কথা তাদের নিয়ে তাই আমার জানাটাও বলতে চাইছি।
শক্তিমান কবি হচ্ছেন যিনি ভালো কবিতা লেখার পর প্রভাব বিস্তার করেন সমসাময়িক এবং অনুজ কবিদের ওপর। তারপরে পরবর্তী অনেক কবির ওপর। ধরেন, শার্ল বোদলেয়ার। তিনি পৃথিবীব্যাপী কবিদের ওপর প্রভাব-বিস্তারকারী একজন কবি।
এইবার আসি বাঙলা কবিতায়। তিনি নিঃসন্দেহে জীবনানন্দ দাশ। তিরিশের পাঁচজন ভালো কবির মধ্যে একজন শক্তিমান। তিরিশের পরে মাঝখানে আর এমন কে প্রভাব বিস্তার করেছে, কিংবা আদৌ করেছে কিনা সে আলোচনায় গেলে বিনয় মজুমদার সামনে চলে আসেন। চলে আসেন উৎপলকুমার বসু। তারপর জয় গোস্বামী। যদিও জয়কে অনেকেই শক্তিমান কবি মনে করেন না। কিন্তু আমি মনে করি। তার কবিতা পড়তে পড়তে মনে হয় মেঘের স্তূপের পাশে দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি, আমার চোখে লেগে যাচ্ছে আকাশের নীল, অবিরল বৃষ্টির ভিতর জন্মাবধি ভিজে যাচ্ছি…।
কালে কালে অনেকেই ভালো কবি থাকেন, কিন্তু শক্তিমান কবি থাকেন দুয়েকজন। দশকে দশকে এরা আসেন না। কয়েকদশক পর পর আসতে পারেন আবার নাও আসতে পারেন।
এইবার আসা যাক শক্তিমান আর ভালোর মধ্যে কী পার্থক্য সে বিষয়ে। ভালো কবির সংজ্ঞা তো সকলেই জানেন। তাই বলা বাহুল্য। শক্তিমান কবির সংজ্ঞাও অনেকেই জানেন। যেহেতু আমার কথা তাদের নিয়ে তাই আমার জানাটাও বলতে চাইছি।
কথা হলো ‘মুঠোফোন’ জাতীয় বস্তু নিয়ে শক্তিমান হওয়া যায় না। শক্তিমান হওয়ার জন্য ‘মেঘবালিকা’ লাগে। যাই হোক জয়ের পরে জহরসেন মজুমদার, পড়ে পড়ে মনে হয় কেউ বৃষ্টি আর আগুনের মিউজিক রুমে বসে দূরের তেপান্তরের মাঠের ওপর থেকে আলতো হাতে মুছে দিচ্ছে বৃষ্টিপাত, আকাশ ঘষে বর্ণিল ক্রেয়নে এঁকে দিচ্ছে দীঘল রামধনু। জহরসেনের পরে বাঙলাদেশে আসতে হয়।
বাঙলাদেশে এসে নব্বই দশকেই পেয়ে যাই একই সঙ্গে দুইজন শক্তিমান কবি। তাদের একজন দেলোয়ার হোসেন মঞ্জু। তিনি সেই কবি যিনি সততই বলে থাকেন যে ‘একজন্মে মানুষ কবিতা লিখতে পারে না, মানুষ কবিতা লিখে মৃত্যুর পরে।’ এই ভাব-বাক্যের সম্প্রসারণ আসলে একটা দীঘল পুস্তকের ধারণের ক্ষমতা আছে বলেও আমি সংশয় করি। যখন তিনি বলেন, ‘নারীর রক্তে রোদ লাগবে, ধীরে তা দুধ হয়ে যাবে…’ আমি চমকে যাই। কিন্তু তার পাঠকের সংখ্যা অতো বেশি নয় কেনো তা বলতে শুরু করলে অনেকের পায়ের তলাতেই মাটি থাকবে না।
আরেকজন শক্তিমান কবি হচ্ছেন মজনু শাহ। তার কথা সমকালীন কবিতার পাঠক মাত্রই জানেন। তাই তার কথা বলা বাহুল্য।
অলংকরণ : নির্ঝর নৈঃশব্দ্য