ক্ষুধা সকল
নদী বিজ্ঞপ্তির অতীতে
বেকারীর পাড়ায় আমি কাগজের নৌকা। অবিরল ধারাপাতের বিকেলে ভিজে ভিজে ভেসে চলি তার জানালার দিকে। গরাদের শিক ঠেলে ধোঁয়া বেরুচ্ছে বিস্তারিত সাদা কুয়াশার রুমাল; কখনও শ্যামল হাত ছুঁড়ে দিচ্ছে বজরার পালে রঙিন নকশা। তাকে চিনলাম না, জানলাম না- সকরুণ এ ব্যর্থতা প্রতি সন্ধ্যায় মাফিনের উপর মিহি দানায় ছড়িয়ে সে বাজারে পাঠায়। বয়ে নিতে নিতে বৃষ্টিগলির নদী ক্ষমা করে দেয় কাগজে অমৃত অক্ষরে। তোড়ায় সুগন্ধী ফুল মনোলীন সাজ তবু সে তাড়ায়, খুন করে ফেলছে কিশোর বৈঠা।
পরম শান্তি চাহিয়াছে গরম ভাত
ফোন ধরতে ধরতে, আপডেট জানাতে জানাতে সময় পেরিয়ে গেল। এক সময় খেই হারিয়ে ফেলে গত শতকের ঠান্ডা ভাত খেতে বসে গেলাম।
কিন্তু তখন খিদে ছিলনা। অনেক মশা ছিল চারপাশে রিংটোনের গুঞ্জনে লিডনিউজের ঝংকারে। পিঠের পেছনে কানের পাশে উড়ে আসে, বসে পড়ে হাতে পায়ে। জোম্বিদের রক্ত আর ভাল লাগছে না, পেট জ্বলছে, তাদের ডানার শ্লথ গতি। নানান অসুখের ভেতরে জেরবার ওড়াওড়ি নিয়ে মানুষের রক্ত খুঁজে বেড়ায়। খালি গায়ে প্রতিদিন কেন খেতে বসার ভান করিনা তার উত্তর না ভেবে আমিও ভাত ও রক্তের মধ্যে কোনটা দরকারি তা বুঝতে চাইছিলাম। টিভিতে বনানীর লাশের সংখ্যা গুম হয়ে যাচ্ছিল কালো ধোঁয়ার বুকে অজস্র মোবাইল ভিডিওগ্রাফিতে।
কাবাব কালচারে মাংসের স্মৃতি ধরে রাখার প্রত্যয়ে মনের চুল্লিতে ভেজে তুলছি নিমতলী তাজরীন চুড়িহাট্টার স্বাদু ইতিহাস। গাইডলাইনের ঠোঁট আলতো চেটে নিন, রোমাঞ্চ হোক। খিদে ফিরে আসতে পারে।