দত্ত ভার্সেস দত্ত: আত্মজীবনী থেকেও বেশি কিছু
‘তুমি জানো এখানেই আমি শেষ,
আমি মৃত আমাতেই!
কেন তবু এতোবার বলো—
আরো চলো, আরো চলো,
এখনো নিষ্কৃতি নেই?’
কিংবদন্তি নাট্যব্যক্তিত্ব বাদল সরকারের ‘এবং ইন্দ্রজিৎ’ নাটকের একটি কবিতা। ষাট-সত্তর দশকে লাতিন আমেরিকায় যেমন হলিউড আঙ্গিকের সিনেমাকে অস্বীকার করে গড়ে উঠছে থার্ড সিনেমা, যা একান্তই তাদের নিজস্ব ফর্ম; তেমনি এখানে, এই ভারতবর্ষে, এই বাংলায় বাদল সরকারের হাত ধরে শুরু হয়েছিল লোকনাট্য ও নগরনাট্যের বাইরে আলাদা দেশীয় একটি ফর্ম যা থার্ড থিয়েটার নামে পরিচিতি পায়।
একটি চলচ্চিত্র নিয়ে লিখতে বসে বাদল সরকারকে নিয়ে এই আলোচনা মোটেও অপ্রাসঙ্গিক নয়, বিশেষত যখন চলচ্চিত্রের নাম দত্ত ভার্সেস দত্ত (২০১২) এবং নির্মাতার নাম অঞ্জন দত্ত। অঞ্জন দত্তের সেই গানটির কথা মনে আছে ঐ যে অমল-ইন্দ্রজিৎদের গল্প— ‘শীতকালের চিঠি’?
‘রাস্তায় সার্ত্রের নাটকের পোস্টার মেরে,
বব ডিলানের বঙ্গানুবাদটা করে
বাদল সরকারের মিছিলে দাঁড়িয়ে
হারিয়ে গেলাম কে কোথায়’
যারা অঞ্জন দত্তের বিভিন্ন সময়ের ইন্টারভিউ কিংবা আত্মজীবনী গ্রন্থ ‘অঞ্জনযাত্রা’ পড়েছেন তারা খুব সহজেই ধরে ফেলতে পারবেন এটি কার জীবনের গল্প! ঠিক তেমনি দার্জিলিং, সেন্ট পল্স স্কুল, বাদল সরকার, থিয়েটার, অভিনেতা হবার স্বপ্ন, মৃণাল সেনের চলচ্চিত্র এই শব্দগুলো উচ্চারিত হলেই চোখের সামনে সানগ্লাস পরিহিত যে অবয়বটি ভেসে আসে তিনি অঞ্জন দত্ত—অভিনেতা, গায়ক, গীতিকার, সুরকার ও চলচ্চিত্রকার অঞ্জন দত্ত। আর এই বিষয়গুলোই যদি থাকে কোন চলচ্চিত্রে তাহলে সেই চলচ্চিত্রটিকে তাঁর আত্মজীবনী বলে মনে হওয়াটাই খুব স্বাভাবিক। কিন্তু না, গল্পের রণদীপ দত্তের সঙ্গে বাস্তবের অঞ্জন দত্তের যেমন অনেক মিল রয়েছে, ঠিক তেমনি রয়েছে অনেক ফারাকও। তাই, এই চলচ্চিত্রটিকে ঠিক আত্মজৈবনিক বলা চলে না বরঞ্চ বলা যেতে পারে প্রায় আত্মজৈবনিক চলচ্চিত্র। হ্যাঁ, দত্ত ভার্সেস দত্ত একটি প্রায় আত্মজৈবনিক চলচ্চিত্র বা সেমি-বায়োগ্রাফিকাল ফিল্ম।
দত্ত ভার্সেস দত্তের গল্প শুরু হয় ১৯৭২ সালের দার্জিলিং-এ। দশ বছর সেন্ট পলস স্কুলে কাটিয়ে, বিগত আড়াই বছরের টিউশন ফি দিতে না পারায় কোলকাতায় ফিরে আসতে হয় কিশোর রনদীপ দত্ত (রণদীপ বসু)-কে। রণদীপ যখন কোলকাতা ফিরে আসে তখন কোলকাতা উত্তাল। একদল তরুণ গ্রাম দিয়ে শহর ঘেরার সংকল্পে রাস্তায় নেমেছে। একদিকে যেমন চলছে তাদের শ্রেণীশত্রু খতমের রাজনীতি ঠিক তেমনি অন্যদিকে চলছে রাষ্ট্রের পুলিশি নির্যাতন ও নিপীড়ন এবং সর্বপরি এইসব স্বপ্নবাজ তরুণদের হত্যার মিছিল।
রণ’র বাবা হাইকোর্টের এডভোকেট বীরেন দত্ত (অঞ্জন দত্ত)। তার আইনি ব্যবসার টান চলছে, দিতে পারেনি ছেলের সাহেবী স্কুলের বেতন। কিন্তু অর্থনৈতিকভাবে ক্ষয়িষ্ণু দত্ত বাড়ির সাবেকি বনেদিয়ানা এখনও বহন করে চলছে। তিনি চান ছেলেকে বিলেত ফেরত ব্যারিস্টার বানাতে কিন্তু ছেলে রণ স্বপ্ন দেখে অভিনেতা হওয়ার।
পুরানো দত্ত বাড়ি, টালমাটাল শহর, নতুন স্কুল, এক সময়ের ভালো পিয়ানোবাদক এলকোহলিক মা (রীতা কয়রাল), পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বাবার সঙ্গে বিবাদ করা জ্যাঠা (বিশ্বজিত চক্রবর্তী), দিদি চিনা (অর্পিতা চ্যাটার্জি), মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট কাকা (শুভাশিস মুখোপাধ্যায়), দূরসম্পর্কের কাকা এবং দিদির প্রেমিক ঘেন্টি কাকু (শংকর চক্রবর্তী), বাবার প্রেমিকা রুনু মাসি (রূপা গাঙ্গুলী) এসবের কোন কিছুই রণ’র ভালো লাগে না। তার কাছে কোলকাতার জীবনকে জেলখানার জীবনের মতো দুর্বিষহ মনে হতে থাকে। এর মাঝে এক টুকরো স্বস্তি নিয়ে হাজির হয় নতুন স্কুলের একমাত্র বন্ধু দ্বৈপায়ন (সমক ঘোষ)। দ্বৈপায়ন তাকে নিয়ে যায় এক স্বপ্নবান যুবক টনি মুখার্জির (সৃজিত মুখার্জি) কাছে, যিনি শিল্প চর্চা করেন, যার বাড়িতে কোন নিয়মের বেড়াজাল নেই, কোন শাসন নেই। এই অপছন্দের শহরে ডানা মেলে উড়বার মতো রণ পেয়ে যায় একরত্তি আকাশ।
তবে শুধুমাত্র আত্মজীবনী কিংবা ট্রিবিউট এর গণ্ডিতে দত্ত ভার্সেস দত্তকে বেঁধে ফেলাটাও সঠিক হবে না। এই চলচ্চিত্র শিল্পের (আর্ট) জয়গান গায়। তাই আমরা এমন সংলাপও শুনতে পাই যে, ‘ভগবান থাকে আর্টে। ভগবান মানে আর্ট।’
শুধু কোলকাতা কিংবা রণই তখন ছটফট করছে না, নতুন জন্ম যন্ত্রণায় তখন ছটফট করছে সমগ্র বিশ্ব। ফরাসী চলচ্চিত্রে চলছে ‘নুভেল ভাগ’ বা ‘নিউ ওয়েভ’ চলচ্চিত্র আন্দোলন যা খারিজ করে দিয়েছে সাবেকি হলিউডি নির্মাণ ঘরণা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে শুরু হয়েছে বিট জেনারেসন কালচারাল মুভমেন্ট এবং একই দেশে ৬০ দশকের মধ্যবর্তী সময়ে শুরু হয়েছে যুব আন্দোলন হিপি বা হিপ্পি। এই বৈশ্বিক বিষয় গুলোর রেফারেন্সও লুকিয়ে আছে এই সিনেমার পরতে-পরতে, যা এক প্রকারে ‘ট্রিবিউট’ই বলা যেতে পারে।
টনি মুখার্জির ঘরের দেয়ালে শোভা পায় প্রখ্যাত জার্মান কবি, নাট্যকার ও মঞ্চ নির্দেশক বের্টোল্ট ব্রেশ্ট, কিংবদন্তি ফরাসি চলচ্চিত্রকার জঁ-লুক গোদার এবং আমেরিকান গায়ক, গীতিকার ও সুরকার বব ডিলানের ছবি। সেই ঘরে আলোচনা চলে বাদল সরকার নিয়ে, স্যামুয়েল বেকেট নিয়ে; সেখানে আলোচনা চলে শিল্প মাধ্যমগুলোর পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে। সর্বপরি, টনি ও তাঁর বন্ধুদের যে জীবনযাত্রা আমরা এই ছবিতে খুঁজে পাই তা কি উপরে উল্লেখিত মুভমেন্টগুলোর দিকে ইঙ্গিত করে না? আবার ঘুপচি কোনো গলির ভিতর কোন তরুণকে পুলিশের তাড়িয়ে বেড়ানো এবং পেছন থেকে গুলি করা কি মনে করিয়ে দেয়না মৃণাল সেনের সেই মাস্টারপিস কোলকাতা ৭১ (১৯৭২)-এর কথা? একই ভাবে, টনি মুখার্জি যখন গেয়ে ওঠে ‘যদি তুমি ফিরে আসতে চাও’ গানটি এবং সেই সঙ্গে যখন উচ্চারণ করে ‘দ্যা সং দ্যাট উইল চেঞ্জ বাংলা আধুনিক গান ফরএভার’ কিংবা ‘এমন দিন আসবে যখন বাঙ্গালি মধ্যবিত্ত ছেলেরা ঘরেঘরে বোমা না বানিয়ে গিটার বাজিয়ে গান করবে’ তখন কি মনে করিয়ে দেয় না সেই তরুণের কথা, যিনি ৭০ এর দশকে বদলে দিয়েছিলেন বাংলা গানের ইতিহাস, সেই ‘মহীনের ঘোড়াগুলি’র স্বপ্নদ্রষ্টা গৌতম চট্টোপাধ্যায়ের কথা?
তবে শুধুমাত্র আত্মজীবনী কিংবা ট্রিবিউট এর গণ্ডিতে দত্ত ভার্সেস দত্তকে বেঁধে ফেলাটাও সঠিক হবে না। এই চলচ্চিত্র শিল্পের (আর্ট) জয়গান গায়। তাই আমরা এমন সংলাপও শুনতে পাই যে, ‘ভগবান থাকে আর্টে। ভগবান মানে আর্ট।’
আর যে গল্পটির কঙ্কাল ধরে নির্মাতা গেয়েছেন শিল্পের এ-জয়গান সেই গল্পটি স্বপ্ন পূরণের গল্প— একজন অভিনয় শিল্পীর ভ্রূণ তৈরি হওয়া থেকে ভূমিষ্ঠ হওয়া পর্যন্ত আমরা খুঁজে পাই। সেই গল্পটি একান্নবর্তী পরিবারের মাধুর্যের গল্প। তাই বীরেন দত্ত যখন হঠাৎ করেই পুলিশি নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন এতোদিন ধরে বিবাদ করা সেই ভাইটিই সংসারের হাল ধরেন। সেই গল্পটি পিতা-পুত্রের গল্প— দুই দত্তের গল্প, যাদের মাঝে রয়েছে দৃষ্টিভঙ্গির ব্যাপক ফারাক। বয়সের একটি সংজ্ঞা হচ্ছেঃ ‘চোখের সামনে বাবা-মা কে বৃদ্ধ হয়ে যেতে দেখা’। যে বাবার ভয়ে নিজেকে চুপসে রাখতো রণ— কখনো মেলে ধরতে পারেনি নিজের ইচ্ছের ডানা, সেই বাবাই অসুস্থ হয়ে একসময় নির্ভরতার হাত রাখে রণ’র কাঁধে। আর এই প্রতিটি গল্পই নির্মাতা বেঁধেছেন পরম মমতায়, পরম মাধুর্যতায় এবং খুবই সুচালোভাবে। তাই দত্ত ভার্সেস দত্ত আত্মজীবনীর গণ্ডি পেরিয়ে ছড়িয়ে পড়েছে শিল্পের সাগরে আর পুরো চলচ্চিত্রের ফ্রেম জুড়ে ছড়িয়ে দিয়েছে শিল্পের জয়গান—জীবনের জয়গান।
এই সিনেমার একটি বড় সম্পদ অভিনয়। বীরেন দত্তের চরিত্রে বরাবরের মতোই অসাধারণ ছিলেন পরিচালক স্বয়ং। বিশেষ করে হঠাৎ অহম্ ধ্বসে যাওয়ার সেই দৃশ্যটি, যখন মেয়ে চিনার স্বামী খোকা (কৌশিক সেন)-কে জড়িয়ে ধরে। কিংবা, যখন দত্ত বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে পুলিশি তল্লাশির প্রতিবাদ জানায় অথবা শেষ দৃশ্যটি। এই কয়েকটি দৃশ্যই প্রমাণ করে এই চরিত্রে তিনি কতটা যথাযথ ছিলেন। অন্য কেউ হয়তো বীরেন দত্তকে এতো সুচালোভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারতেন না। টনি মুখার্জির চরিত্রে সৃজীত মুখার্জি খুবই সাবলীল অভিনয় করে মুগ্ধ করেছেন। একই ভাবে মুগ্ধতা ছড়িয়েছেন কৌশিক সেন, যদিও তাঁর চরিত্রটি খুবই ছোট ছিল। ভালো অভিনয় করেছেন রণদীপ বসু, রীতা কয়রাল, রূপা গাঙ্গুলী, দীপঙ্কর দে এবং বিশ্বজিত চক্রবর্তী। তবে মানসিক ভারসাম্যহীন ছোট কাকা চরিত্রে গুণী অভিনয়শিল্পী শুভাশিস মুখোপাধ্যায় নিজের সর্বোচ্চটা দিতে পারেননি বলে মনে হয়েছে।
এই সিনেমার আরেকটি উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এর রঙের ব্যবহার— সাদাকালো, সেপিয়া টোন এবং রঙ্গিন। রঙ-এর এহেন ব্যবহার মনে করিয়ে দেয় সোভিয়েত রাশিয়ার চলচ্চিত্র জাদুকর আন্দ্রেই তারকোভস্কির কথা। রঙ এর এমন যথাযথ ব্যবহার সম্প্রতিকালের ভারতীয় সিনেমায় বিশেষ একটা দেখা যায় না।
আবহসংগীতও ছিল খুবই ভালো। আবহে কখনো কিং ক্রিমসনের ‘ইন দ্যা কোর্ট অফ দ্যা ক্রিমসন কিং’ আবার কখনও বেগম আখতারের রাগ দৃশ্যের মুড তৈরিতে সহায়ক ভুমিকা রেখেছে।
নীল দত্তের সঙ্গীত আয়োজন এই চলচ্চিত্রে প্রাণ যোগ করেছে। ‘ভালোবেসে সখি’ গানটির নতুন সঙ্গীত আয়োজন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানকে নতুনভাবে হাজির করেছে। কিন্তু একটি প্রবাদ আছে— চাঁদেরও কলঙ্ক আছে। ঠিক তেমনি এই গানের দৃশ্যায়নটি বড্ডবেশী বেমানান লেগেছে। পুরো চলচ্চিত্রের মেজাজের সঙ্গে খাপখাওয়াতে পারেনি এই গানের দৃশ্যায়ন। আমার কাছে অযাচিতই মনে হয়েছে। মনে হয়েছে অনেকটা জোর করে হয় অর্থলগ্নীকারকের ইচ্ছায় কিংবা দর্শককে হালকা মনোরঞ্জনের জন্যই যোগ করা হয়েছে এই মিউজিক ভিডিও।
এই গানের মতোই কিছু চরিত্রের বুননেও দুর্বলতা দেখা গেছে। চিনা’র চরিত্রটি সেই অর্থে পূর্ণতা পায় নি। একজনের সঙ্গে প্রেমে মসগুল থাকাকালীন খুবই স্বল্প সময়ে নতুন করে একজন নকশাল ছেলের প্রেমে পড়তে যে ধরনের চারিত্রিক বলিষ্ঠতা দরকার সেটা তার চরিত্রের গঠনে অনুপস্থিত। আর তাই, অন্য চরিত্রগুলোকে যেখানে পর্দার নয় বরং রক্ত-মাংসের মানুষের মতো দেখায়, সেখানে এই চরিত্রটিকে বড্ড বেশি নাটুকে মনে হয়।
এই চলচ্চিত্রে এতো বেশি সাব-প্লট ছিল যে— কিছু-কিছু সাব-প্লট একটু দীর্ঘ সময়ের দাবি রাখলেও চলচ্চিত্রের দৈর্ঘ্যের সীমাবদ্ধতায় সেটুকু পায় নি। খোকার মতো একজন ডাকসাইটে নকশাল হঠাৎই কেন দেশ ছেড়ে চলে যাচ্ছে সেটা স্পষ্ট হয়নি। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে নতুন পরিবার হয়েছে, দায়িত্ব বেড়েছে এসব কারণে কিন্তু সেটা এমন একটি আন্দোলন সম্পর্কে কিছুটা নেতিবাচক অর্থই বহন করেছে বলে মনে হয়েছে। যদিও নির্মাতা এটাও দেখিয়েছেন যে—এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। তাই খোকা দা চলে গেলেও দ্বৈপায়ন এগিয়ে এসেছে। যে দ্বৈপায়ন এক সময় গাঁজায় মেতে থাকতো সেই দ্বৈপায়নই বিপ্লবের স্বপ্ন বুকে করে ফেরারী হয়ে ঘুরে বেড়ায়। এই আন্দোলনের লিগ্যালিটির প্রশ্নে দৃপ্তকন্ঠে উচ্চারণ করে, ‘কোনটা লিগ্যাল? দেয়ার হ্যাভ টু বি এ স্টার্ট’।
এভাবেই একটি উত্তাল সময়ের গল্প একজন তরুণ, একটি পরিবার, একটি শহরের ব্যাকড্রপে এঁকেছেন নির্মাতা অঞ্জন দত্ত এবং তৈরি করেছেন তাঁর এযাবৎকালের সবচেয়ে শক্তিশালী চলচ্চিত্র দত্ত ভার্সেস দত্ত, যা বারবার দেখা যায় এবং যা দেখে অনুভব করা যায় চলচ্চিত্র মাধ্যমের শক্তি।