সভ্যতা বিনির্মাণে মৃত মাছের ভূমিকা – ১
‘মাছ ধরার জন্য প্রস্তুতি’ বিষয়ক সভায় অনেকেই অদ্ভুত সেজে আসেন। এটা ঠিক নয়। প্রাথমিকভাবে, আপনাদের মেডিটেশান, ঘুম, মাছের স্বপ্ন এবং জালের ইতিহাস পড়ে আসতে বলা হয়েছিল। মাল্টিমিডিয়াতে মৎস্যরুচি নিয়ে ডকুমেন্টারি দেখতে দেখতে আপনি নানা ভঙ্গিতে ধরাধরি শিখতে পারবেন। আপনারা জানেন, সফল মৎস্যশিকারী হতে চাইলে আবহাওয়াসহিষ্ণু মন নিয়ে পানি ছু্ঁয়ে পরখ করা জানা চাই; বুঝতে হবে জলাশয় ও মাছের মন। এরপর যা যা করণীয়- বড়শি চাই নানা ধরণের, পাস সংগ্রহ করা, লোভনীয় আধার, বসার আসন, চায়ের ফ্লাস্ক, জলের বোতল, মাথার টুপি ও ছাতা- এসব নিয়ে ভাবুন। মাছের মত ভাবা অভ্যাস করুন।
মনে রাখবেন, যে মাছটি ধরলেন যদি তার প্রজাতি না চেনেন, তবে রাগে-দুঃখে সে বা তারা, আপনাকে দেখেই মরে যেতে পারে। দুপুরের মধ্যেই প্রচুর মাছ নিয়ে যারা শহরে ফিরতে চান, তারা লেকের জলের নীচে ব্লোয়ার ও চটুল ধ্রুপদী সংগীতের আয়োজন রাখুন। এর আগে, ধরা পড়তে ইচ্ছুক মাছদের অনাপত্তিপত্র জলদগম্ভীর স্বরে পাঠ করে কুচিকুচি ছড়িয়ে দিন পানিতে। ড্রোন সে দৃশ্য ধারণ করে সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেবে। গদারের বেড়াল ঠোঁট চেটে টিভিসেট থেকে আড়চোখে তাকাবে শুন্য একুয়ারিয়ামে। জানালায় ভেসে আসছে তখন, অন্য বাড়ির চুলায় মাছভাজার সুবাস।