ভিউ ফাইন্ডার
( ইন্টারভিউ। অফিস। ইনডোর। সকাল )
রিমাইন্ডার কল রাত একটায়। প্রস্তুত হচ্ছিল চাঁদ সূর্য, সম্মিলিত ভরের বিস্তার, ছুটন্ত কোকাবুরার দ্রুতি উপাত্ত, মেষশাবকের উপর হামলে পড়ার আগে চিতার হাসির ব্যাখ্যা। পাশ কাটিয়ে সকাল সকাল, নিউজপেপার হাতে মৃদু তরল গলায় আপনি টেবিলের অপর প্রান্তে খেলছেন। ধোঁয়া উঠছে, চায়ের কাপ পেরিয়ে প্রশ্ন ছুটে আসছে পর পর। ‘পুরুষ না মহিলা?’, ‘কে রেখেছে এই নাম ?’ মিশিয়ে দিচ্ছেন আদিমন্ত্র শেষ অমোঘ সুধায়। ‘নামে ধর্ম বোঝা যায় না কেন?’, ‘ইন্ডিয়ায় কে কে থাকে আত্মীয় পরিজন?’ আপনি ভুল করে অনেক নীচে নেমে যাচ্ছিলেন, অহিংসায় দেশপ্রেমে।
( উইন্টারভিউ। হাসপাতাল। ইনডোর। দুপুর )
দুটো শহর। তোমার প্লেনে উঠে যাবার তাড়া ছিল। আমার নাতিদীর্ঘ চুমুতে নেমে আসার ইচ্ছে। অকিঞ্চিৎকর গরমিলে অবমান টের পেয়ে ইউনিকর্ণ ঝেড়ে নিচ্ছিল কেশর যদিও অদৃশ্য তুষারপাত চারিদিকে, হৃদস্পন্দনে। ভেজা এই রাস্তা যাবে বিখ্যাত বাজারে, তাই আমি কখনও তোমার শহরে যেতে চাইনা। পরিচিত ব্রীজ-দালান, নিয়ন-গাড়ি, ব্যস্ততা অস্থির করে তোলে আর আমি প্রতিমুহূর্তে গ্রেফতার হয়ে যেতে থাকি অপেক্ষায়। এখন ঘোড়া কান নেড়ে ইশারা করলেই দখিন সাগরে উড়ে যেতে হবে, রাডারশোভিত আবহাওয়া দ্বীপে।
( সেন্টারভিউ। বন্দর। আউটডোর। বিকেল )
জবাব দিতে আমি বাধ্য নই। তাকে কোন জাতের ছোলা খেতে দিই, লেজের জটে জবাকুসুম তেল মাখি কিনা বা পছন্দের চিরুনির নাম- কেন বলব? সেলুনে আমরা পাশাপাশি বসি, আপনি খেলনা ঘোড়ায় চেপে দেখে যেতে পারেন। ইদানিং বিনয় মজুমদার পড়ি, নিজেদের শোনাই। লোকায়ত গল্প টানে বলে বুঁদ হয়ে থাকি। দেখি ডুবে যাওয়ার আগে, পাথরবোঝাই একটানা ভেসেছিল জাহাজ, অলস অনেকগুলো দিন; কুয়াশায়।