‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’ ও নিজস্ব প্রলাপ
‘বাদামওয়ালার কুপি নিভে গেল
এখান থেকে
হাঁটা যেতে পারে; ভাবছি।
গন্তব্য-
পৃথিবীর শেষ বৃষ্টি’।
লাইনগুলো পড়ে প্রথমেই কী মনে আসতে পারে! নিজের কথা বলি, আমি ভেবেছি একটা নষ্ট গন্তব্য ছেড়ে দিয়ে উদাস হয়ে কেউ চলে যাচ্ছে দূরে। কবি মন্দিরা এষের কবিতার বই ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’ থেকে পড়ছিলাম ‘শিশু বৃষ্টির গান’। খুব সহজ সাবলীলভাবেও কবিতা লেখা যায়, যা মনের ভিতরে কোথাও ঠিকই দাগ রেখে যাবে, তা মন্দিরা এষের কবিতা পাঠ করতে বসলে বেশ বোঝা যায়। একেকটি লাইন দৃশ্যের দিকে যেতে থাকে বলেই হৃদয়গ্রাহী কোনো সুরে আটকে রাখে তার একেকটি কবিতা। ঠিক তেমনি একটি কবিতা ‘শিশু বৃষ্টির গান’। কবিতার নাম শুনেই মনে হতে থাকে কোনো উদার ও উদাস মানুষের গান। তো এই কবিতারই আরও কিছু স্তবক পাঠ করা যেতে পারে,
‘রাস্তার পুলিশ ভিজছে,
আইল্যান্ডের পাগল ভিজছে,
স্কুল ফেরত বালক ভিজছে,
কর্পোরেট সাহেব ভিজছে,
শহরে আজ কোনো ছাতা নেই কারো।
আমি হাঁটছি
তুমুল পাল্লা দিয়ে মেঘমল্লারে
পায়ের তলায় গলে যাচ্ছে মেঘ’।
একটা বৃষ্টি বিদূর ক্ষণে এসব ঘটছিল। মেট্রোপলিস জীবন ও ঘূর্ণায়মান চাকায় যে ঘটনাগুলো আরও ভিতরকার খোঁজ দিয়ে যায়, ‘শিশু বৃষ্টির গান’ এ তাই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। বিশেষ করে কবিতাটির শেষ তিনটি লাইন যেন সার্থক করে তুলেছে ‘শিশু বৃষ্টির গান’। একবার পড়ে নেয়া যেতে পারে,
‘মা, আর কখনও আমার অপেক্ষা করো না গ্রিলে দাঁড়িয়ে;
আমি বৃষ্টির সাথে বৃষ্টি হয়ে
দূরে কোথাও যাচ্ছি…’
দুরূহ নয় এমন কিছু দৃশ্যের মাঝে চোখ চলে যায়, যখনই এই কবিতার শেষের তিনটি লাইনে চোখ চলে যায়। কবিতাটি আমার খুব প্রিয় একটি কবিতা। তো এই ঘোর ছেড়ে পৃষ্ঠার সাথে মিশে গেলে পৃষ্ঠা বদলাতে হয়, যেহেতু ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’ স্থির থাকে না। তো এইক্ষণে পড়ে নেয়া যেতে পারে ‘অ্যাবসার্ড সিটি’। যান্ত্রিক এই শহর ও নিজেদের অবস্থান পরিষ্কার করে চোখে ফুটিয়ে তুলে একটা অ্যাবসার্ড সিটি। এই কবিতাটি ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’র প্রথম কবিতা। তো কৌতুহলী চোখেদের কাছে একবার পরিচয় করিয়ে দিতে চাই, ‘অ্যাবসার্ড সিটি’,
‘আমি তীব্র দৌড়াতে থাকি
সমস্ত ছায়ারা এখন দূরে-বহুদূরে;
এসো, আমার আঙুল ধরো…
ছুঁতে পারছো কি?
আমি তীব্র হতে হতে শূন্য-মহাশূন্য
আর তুমি অস্পষ্ট ড্যান্সিং ডিজিট;
সুতানলি সাপের মতো স্যাঁতস্যাঁতে সময়
শিরদাঁড়া বেয়ে চলে যাচ্ছে দ্রুত’।
খুব সহজ সাবলীলভাবেও কবিতা লেখা যায়, যা মনের ভিতরে কোথাও ঠিকই দাগ রেখে যাবে, তা মন্দিরা এষের কবিতা পাঠ করতে বসলে বেশ বোঝা যায়। একেকটি লাইন দৃশ্যের দিকে যেতে থাকে বলেই হৃদয়গ্রাহী কোনো সুরে আটকে রাখে তার একেকটি কবিতা।
যান্ত্রিক এই শহর যেমন আমাদের ছেড়ে যায় না, ঠিক তেমনিই আমরাও তাকে ছেড়ে যেতে পারি না। এই দ্বৈরথ কখনো সুখে কখনো হতাশ হয়ে বিচ্ছিন্নতায় ঠিকই টিকে থাকে। আর ‘অ্যাবসার্ড সিটি’র ভিতরে এসবই চলে প্রতিনিয়ত। এই কবিতার দ্বিতীয় স্তবকে এসে মনে হতে থাকে একটা যুতসই শহর আমার চোখের কাছ দিয়ে ঘেঁষে গেল। দুটি লাইন কোন এক সংশয়ে স্থির করে দেয় চোখ। তারপর চোখ বন্ধ করে আলোর সন্ধানে নেমে পড়া কোনো পরিচিত নাগরিক মুখ ভেসে উঠলে দেখি কোথাও বাতি নেই। তবু কোথায় যেন ঠিকই স্পষ্ট হয়ে ওঠে শহর। লাইন দুটি একবার পাঠ করে যেতে চাই, দেখা যাক দৃশ্যের কাছে কবিতা বা শব্দের কাছে সৌন্দর্যের ঠিক কী অনুপাত দাঁড়ায়!
‘এই ঝিম-ধরা শহরে নেই কোনো লাল আপেল গাছ
আর কেবলই পেঁচিয়ে যাচ্ছি দৌড়াতে দৌড়াতে…’
লাইন দুটি পড়ার পর আত্মতৃপ্তির মতো কিছু একটা পেয়ে বসে। মনে হয় যেন আমিও দৌড়াচ্ছি। আদতে তাই হয়। যদিও কবিতার শেষের লাইন তিনটিকে অপরিচিত মনে হয়েছে। পড়তে যেয়ে বারবার মনে হচ্ছিল ‘অ্যাবসার্ড সিটি’তে কিছু একটা গণ্ডগোল লেগে গেছে। তাই মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে এমনতর ভাবনায় বেশিক্ষণ ডুবে থাকতে নেই। বরং ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’ উল্টিয়ে অন্য কোনো কবিতায় ডুবে থাকা যেতে পারে। অথবা ‘গন্তব্য’ নামের কবিতাটিতে মানুষের আদিম সংশয় আরও ভালো করে বুঝে নেয়া যেতে পারে। ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’য় একটা দুর্দান্ত কবিতা, ‘গন্তব্য’। তো চলুন মনোযোগ বিচ্ছিন্ন হবার আগেই যার যার চোখে ‘গন্তব্য’ খুঁজে নেই। ‘গন্তব্য’ কবিতা থেকে অংশবিশেষ পাঠ করা যেতে পারে,
‘আমরা তিনজন তিনদিকে যাচ্ছি
অথচ আমাদের একটিই পথ
কম্পাস ঘুরলেই দুপুর বদলে যায়
কাকেরা উড়তে থাকে।
আতাবনের কান্না বাজছে কোথাও
আমরা ঘোরগ্রস্ত হয়ে পড়ছি ক্রমশ…’
কবিতাটি পড়তে যেয়ে কোথাও আটকে যাইনি। এক টানে পড়ে ফেলা যায় এমন কবিতা। আর মোহ যেন কোনো ভাবেই ভেঙে যায় না। যদিবা যায়ও একটা শান্ত দৃষ্টি নিয়ে খুঁজি ‘আতাবনের কান্না’কে। এইসব উপমায় মগ্ন হয়ে থাকা যায় অনেকক্ষণ। মোহ কিংবা ঘোর কবিতার সাথে এভাবেই তো মিলেমিশে যায়। এবার ‘গ্রন্থিগত’ কবিতাটি নিয়ে কিছু বলতে ইচ্ছে করছে। তার আগে কবিতার শেষের দুই স্তবক পড়ে নিতে চাই,
‘কৃষ্ণপক্ষ শুরু হয়ে গেছে-
শ্যামলা আকাশ দাঁড়িয়ে আছে কোথাও
আমি ব্যস্ত ভঙ্গিমা রপ্ত করছি;
একটি অদৃশ্য পাহাড় পাশ কাটিয়ে
চলে যাচ্ছি অচেনা ভিড়ের সঙ্গে
ধরে নিচ্ছি পাহাড়টি জন্মসুত্রে আমার নিকটজন;
সে আমাকে বলতে চাইছে কিছু…
ঠিক করেছি আমি তার দিকে তাকাবো না;
শুধু তার আঙুল ধরে হাঁটবো; মণিপুর থেকে পাখিপুর…’
‘গ্রন্থিগত’ কবিতাটি পড়ার পর মনে হচ্ছিল একটা নির্ধারিত সন্ধ্যার ভিতর দিয়ে হেঁটে যাচ্ছি আমি। দৃশ্যের ছোঁড়া শ্রেষ্ট মুহূর্তটি এই বুঝি ছিটকে গেল, এমনটা ভাবতে ভাবতে বারবার ঠিকই ওই সন্ধ্যাটির কাছে হেঁটে যায় মানুষ। বোধে কোনো লুকানো জমিন নেই, এই জেনেও ঠিকই প্রত্যাশা করে যাচ্ছে কেউ, ‘শুধু তার আঙুল ধরে হাঁটবো; মণিপুর থেকে পাখিপুর’। যেন মানুষ মাত্রই ঠিক একই প্রত্যাশা করে যাচ্ছে যার যার সীমারেখায়। প্রত্যাশার ঘোর ছেড়ে এবার ‘ঘুম’ এর কাছে যাওয়া যেতে পারে। ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’য় আরও একটি বিভ্রমণের নাম ঘুম’। তো চলুন পাঠ করে নেই ‘ঘুম’ কবিতাটির কিছু টুকরো অংশ,
‘একটা ঘুম থেকে
মৃদু ওম, সেলুলয়েড স্বপ্ন
মূক ও বধির; স্থবির নয়।
একটা ঘুম থেকে
নদীগন্ধ, প্রিয়ব্যথা হয়
দুপুর প্রলাপ; জলের মধ্যান্তর।’
একটা ঘুম থেকে যে কবিতাটির শুরু হলো, সে কবিতাটির ভিতরে কিছু শব্দ মাথায় ঘুরতে থাকে। এই যেমন ‘সেলুলয়েড স্বপ্ন’, ‘নদীগন্ধ’, পড়ার পর এইসব শব্দ ঠোঁটে লেগে থাকে অনেকটা সময়। আর যখনই চারপাশ দেখে শব্দগুলোকে বোঝার চেষ্টা করি, একটা বিশুদ্ধ মন্ত্রের মতো শব্দগুলো তখন আমি বলতে থাকি। এই কবিতাটির শেষের দুটি স্তবকও পাঠ করে নিতে চাই। বলে রাখা ভালো, ইতোমধেই যা লিখেছি, তাতে প্রশংসা ছিল কিনা বা কেনইবা ভালো না লাগার ব্যাখ্যা ছিল না, তার কারণ বলতে গেলে বলব আমার ভালো লাগা কবিতাগুলো নিয়েই আমি লিখেছি। মনোযোগী পাঠক নিশ্চয় বুঝে নেবেন। সে যাইহোক ‘ঘুম’ কবিতাটির শেষ দুটি স্তবক পড়া যাক,
‘একটা ঘুম থেকে
শেষ চিঠি, নগ্নযুগের দিকে
প্রতিধ্বনি; অপাপবিদ্ধ স্বর।
একটা ঘুম থেকে
আড়মোড়া, নিযুত ডানার ঘোর
বদ্ধ আকাশ; ছিঁড়েফুঁড়ে উঠে আসে কেউ।’
‘নিযুত ডানার ঘোর’ এ নেশা লাগে, আর নেশা কাটাতে গেলে ঠিক কোথায় গিয়ে থামতে হয়, আমরা জানি। জানে ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’। তার প্রমাণ হিসেবে ‘রেস’ কবিতাটি ঠিকই উঠে আসে। এটা এমন একটা কবিতা, যা পড়ার পর নিজেকে বড় অসহায় মনে হয়। কিংবা হতে পারে মানুষ মাত্রই এই অসহায়ত্বে চিরনির্ভর। ‘রেস’ কবিতাটির দৃশ্যপটকে সুন্দর বলব না আমি। কিন্তু আমাদেরকে কি করুণ এক দৃশ্যের কাছে নিয়ে গেছেন মন্দিরা এষ! এই কবিতাটির কোনো অংশই আমি লিখব না, কেননা আমি চাইব মনোযোগী পাঠক অন্তত একবারের জন্য হলেও কবিতাটি পড়ুক। আর নিজেদের অসহায়ত্বে অন্তত একবার কাঁদুক। আমি বরং ‘পাহাড়ের গান’ শোনাতে পারি। তো চলুন ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’ থেকে শুনে আসি ‘পাহাড়ের গান’!
‘ইনসমোনিয়াক নই; চুতিয়া রাত্রি জানে ভালো
রাক্ষুসে ট্রাকের পেটে গান গাইছে যারা
তারা আমায় একটি পাহাড় কাটতে নিয়ে যায় মাঝরাতে
পাহাড় কাটছি…
কাটছি…
কাটছি…
পাহাড়ের শিশির-আঁধার-মেঘ ছিড়ে ছিটকে পড়ছে
আমরা নুনজলে ডুবে যেতে যেতে
পাহাড় কাটছি
ভোরের সমান্তরাল; আর
আমাদের মধ্যে পাহাড়ের অন্য পাড়ে যার বাড়ি
সে শুধু জানে,
কোনোদিন তার আর ফেরা হবে না।’
সত্যিই পাহাড়ের অন্য পাড়ে যার বাড়ি, তার ফেরা হবে না কোনোদিন। আর এই জেনেও বেঁচে থাকা আরও বর্ণাঢ্য হয়। ঠিক এমন কোনো কারণই কি থাকে, যার ফলে ফেরা যেতে পারে! বা কারণ থাকার পরেও পথ কি সেই সুযোগ দিতে পারে কোনোদিন! এমনতর জিজ্ঞাসায় কোনো দাবি প্রকাশ পেল কিনা তা বোঝার আগে একবার ‘নিখোঁজ রাস্তা’র খোঁজ করা যেতে পারে। এই ‘নিখোঁজ রাস্তা’, ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’র আরও একটি উজ্জ্বল কবিতা। তো চলুন এই কবিতাটির প্রথমাংশ একবার পাঠ করে নিই,
‘এইরকম চৈত্রদিনে একটি রাস্তা হারিয়ে গেল; অনেকটা লাল ছড়িয়ে-
দ্বিধাযুক্ত ফিসফাস; ঝাউসারি-বালিয়াড়ি জুড়ে।
কেউ বলছে, বড়ো শান্ত ছিল, যেন মেঠোপথ!
কেউ বলছে, উচ্ছন্নে গিয়েছিল আগেই, এঁকেবেঁকে!
নদী বলছে, জলের কাঙাল ছিল!
জারুল বলছে, বুক পেতে নিতে পারে ধুলোমাখা ফুল!’
কবিতাটি একটানে পড়ার মতো একটি কবিতা। কিন্তু যতবার এই কবিতা পড়েছি, নিজেকে আমার উদ্ভ্রান্তের মতো মনে হয়েছে। ঠিক যেন রেসের ঘোড়ার মতো অবিকল। এই নিত্য সংসারে এমন বোধ কোনো আশ্চর্য ঘটনা নয়। আর এই মেনে নিয়েই বেঁচে থাকে মানুষ। কিন্তু ‘সত্যপাখি’ও কি বোধের ভিতরে কোনো রঙ ছড়াতে পারে নি! নাকি পেরেছিল! এই সংশয়ে একবার কবি আবুল হাসানের ‘আমার হবে না, আমি বুঝে গেছি’ কবিতার লাইন মাথার ভিতরে ঘুরতে থাকে, তো আবার পরক্ষণেই মাথা শূন্য হয়ে যায়। আচ্ছা, ‘সত্যপাখি’ কি কোনো জাদু জানে! সে যা-ই হোক ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’র আরও একটি পছন্দের কবিতা ‘সত্যপাখি’। আমার খুব প্রিয় কবিতারও একটি এই ‘সত্যপাখি’। কবিতাটি একবার পাঠ করে নেয়া বেশ জরুরীই হয়ে পড়েছে,
‘আমাকে ডাকেনি কোনো বাঁশিওয়ালা,
কোনোদিনও না।
তবু আমি দাঁড়িয়ে রয়েছি;
ভোরেরও আগে; যতটা ঝরেছে বৃষ্টি
এ মহাকালব্যাপী…
তারও অধিক ঝরে যেতে যেতে;
আর ঝাপসা দুপুরে একটি স্বচ্ছ শালিক
যখন আমার ঘাড়ে এসে বসেছে
সত্যপাখি! আমি জেনেছি জলের সরলতা-
কোনো নদীই আত্মস্থ করেনি কখনও…’
এই কবিতায় ‘সত্যপাখি’ শব্দটি এত নিখুঁতভাবে গেঁথেছেন মন্দিরা এষ, যেন মনে হচ্ছিল লাইনটিকে আর কোনো পরিপূরক শব্দ দিয়েও অর্থপূর্ণ করা যায় না। ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’র উজ্জ্বল এই কবিতাটি পাঠক হৃদয়কে উন্মাতাল করে দেবে মুহূর্তেই, এই বিশ্বাস নিয়ে কবি মন্দিরা এষের কবিতার বই ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’র আরও একটি পছন্দের কবিতার কথা বলা যেতে পারে। যে কবিতার নামে গড়া এই কাব্যগ্রন্থ, ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’। এই কবিতাটি টনিক হিসেবে বেশ কাজে দিতে পারে। আর ‘অরণ্য মিথের পৃষ্ঠা’র প্রতিটি পৃষ্ঠা এভাবেই উজ্জ্বল হয়ে থাকবে, এমনটাই বিশ্বাস করি। এই কবিতাটির শেষের চারটি লাইন পড়তে পড়তে শেষ করতে চাই সংক্ষিপ্ত এই আলাপ।
‘নির্জন সন্ধ্যাস্তে নেমে পড়তেই
আমার সাথে সাথে নামলো একাকীত্ব!
আমি জমে যাচ্ছি ধীরে,
যেভাবে তীব্র হিমবাহে জমে গিয়েছিল আকাশ।’
২৫ মে, ২০১৮