গ্যু চেঙ-এর পাঁচটি কবিতা
আধুনিক চীনা সাহিত্যে গ্যু চেঙ (১৯৫৬-৯৩) এক জনপ্রিয়তম নাম। কবি, প্রাবন্ধিক ও উপন্যাসিক গ্যু চ্যান আধুনিক চীনা কবিতা আন্দোলন ‘ধোঁয়াশা কবি’দের একজন ছিলেন। তার বাবা গ্যু গং ছিলেন পার্টির সদস্য এবং সামরিক কবি। সাংস্কৃতিক বিপ্লবের সময় তাদের বেইজিং থেকে গ্রামে পাঠানো হয়। ১২ বছরের গ্যু চেঙ প্রকৃতির কাছ থেকেই কবিতা আয়ত্ত করেন বলে দাবি করেন। পরবর্তী সময়ে প্রতিদিনের বিষাদময় জীবনে বিরক্ত হয়ে তিনি নিউজিল্যান্ডের ছোট্ট এক গ্রামে অবস্থান নেন। সেখানকার ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডে তিনি চীনা ভাষা শেখাতেন। বিয়ের পর তিনি ই লিঙ নামের এক নারীর প্রতি তীব্র আকৃষ্ট হন। গ্যু চেঙ, তার স্ত্রী এবং ই লিঙ একই ছাদের নিচে বসবাস করতে থাকেন। গ্যু চেঙ কুড়াল নিয়ে তার স্ত্রীকে আক্রমণ করেন, হত্যা করেন এবং ফাঁসিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেন।
এক প্রজন্ম
অন্ধকার রাত্রি দিল আমায় অন্ধকার কালো চোখ
তবু আমি তাদের ব্যবহার করি আলো খুঁজতেই।
দূরে ও কাছে
তুমি,
আমার দিকে একটু তাকালে
তারপর মেঘের দিকে একটু তাকালে
আমার মনে হয়
যখন আমার দিকে তাকাও, তখন তুমি অনেক দূরে
কিন্তু যখন তুমি মেঘের দিকে তাকাও, তখন তুমি অনেক কাছে।
চাঁদ ও নক্ষত্রের উৎস
গাছের শাখারা আকাশকে ফালি ফালি করার চেষ্টা করে
কিন্তু কেবল অসংখ্য ক্ষুদ্র গর্ত করতে সফল হয়
যার মধ্য দিয়ে আলো আকাশ ফুঁড়ে বেরিয়ে আসে
তার নামই তো মানুষ চাঁদ আর নক্ষত্র দেয়।
স্ন্যাপশট
সূর্যালোক
আকাশে এক বিদ্যুচ্চমকের পর
আবার মেঘের আড়ালে সমাধিস্থ হয়
ঝড় উঠতে থাকে
আমার আত্মার নেগেটিভ ছবি।
উন্মেষ
গাছের আঠালো রস
ধীর কান্নার প্রবাহ
আমার হৃদয়ে টুকরো জোড়া দেয়
আমাদের ভালোবাসা যাতে আটকায়
তা কোনো যৌন উন্মাদনা নয়
তবে তা আমাদের ভাগ করা ব্যথা।