:
Days
:
Hours
:
Minutes
Seconds
Author Picture
পলিয়ার ওয়াহিদ

কবি, গদ্যকার

চরিত্রে ঠাসা আয়না ও অন্যান্য
প্রচ্ছদ: রাজিব রায়

চরিত্রে ঠাসা আয়না ও অন্যান্য

কৈফিয়ৎ

ঐ তো পৃথিবী কাঁদছে
দূরে বাংলাদেশ!
আমি শিশুটিকে
একটা খেলনা কিনে দিই

আমার মরমী পাঠকরা জানবেন—
ভালোবাসা ছাড়া
আমার কোন খরচা নেই!

 

চরিত্রে ঠাসা আয়না

বংশহীন ফুলের মতো আজ আমার হেদায়েত হলো। ভাবছিলাম—পতঙ্গের প্রণয়ের কোনো ভঙ্গি আমার মুখস্ত আছে কিনা? তোমার নাকে শিমফুলের মতো শোক ফুঠে আছে। আমি ঘোষণা করছি—নারী-ই আসল মানুষ! পুরুষ প্রেমে-কামে নিদারুণ পশু! চরিত্রে ঠাসা আয়নার মতো তার বিচিত্র ছল। শোক মিথ্যে হলে ভালোবাসা শুকায়ে যায়। মানুষ কখন ভাবুক হয়? শরীল ভালো না থাকলে কল্পনা হয়ে ওঠে বেদনার। আর তখন জীবন হয়ে ওঠে শুধুই ফাঁকির। অথচ তোমার ছোট্ট নদীটার তীরে বৈঠা ফেলে বেঁধে রেখেছি—ভবিতব্যের নৌকো। সাথে সারথী হবে অমরবতীর উত্তরপুরুষ। প্রত্যেক মাতালের মতো আমাকে মেটাতে হলো দেনা। আগে এসেও আমি সর্বশেষ বহিরাগত। তবু এখানে এলে তোমাকে ভুলে থাকা যায়। এই ওষুধে আমার সামান্য বিশ্বাস। মহুয়া, মরে গেলে মানুষ—ভারি হয়ে যায়?

 

মহুয়া সিরিজি- ৬

সেই কবে—চিরবসন্তের উজ্জ্বল উদ্যান থেকে বিতাড়িত হবার পর পুনরায় পৃথিবীময় ক্ষমা নিয়ে আমি আর মহুয়া ভয়ে-ময়ে স্বর্গে ঢুকি। দেখি—নয়নাভিরাম জান্নাত দাঁড়ায়ে অবিকল মায়ের মুখের মতোন সচ্ছল।

ছুটে যাচ্ছে অফুরান মধুক্ষেত। মৃত্যু থেকে পালায়ে-মালায়ে তাড়াচ্ছে পিপাসা। চুমুক আটকে আছে মাকামের ঠোঁটে। কারার থেকে ভেসে আসছে দুধেলা নহর। আর অদূরে জান্নাতুল ফেরদাউসের গুনগানে ভরে উঠছে সবুজ বয়ান। তাকে ঘিরে মৌমাছি বিতরণ করছিলো—আগর কাঠের সুঘ্রাণ। আর সেখানে লটকানো জননী ও জায়ার ছবি।

যে কোনো আয়াতলোচনা মাওয়া হয়ে উঠতে পারেন—জ্যোতিষ্কের সোনার চিরুনী।

 

আদম-হাওয়া- ১

আদম থেকে স্বরে অ বাদ দিলে হাতে থাকে দম। দম মানে শ্বাস-প্রশ্বাস। নিঃশ্বাস মানে অক্সিজেন-বাতাস-হাওয়া। যদিও হাওয়ার জন্ম আদমের পাঁজর হতে। কিন্ত আদম আদম জপতে যে দমের প্রয়োজন তা তো হাওয়া ছাড়া সম্ভব নয়।

হে হাওয়া—তুমি আদমের দম হয়ে বাঁচায়ে রাখো পৃথিবীর শেষ বংশবিস্তার। আর আদমকে মুক্তি দাও তোমার ভেতর!

মা হাওয়া—তোমার দুগ্ধপান করতে করতে যেদিন স্ত্রীর বুকে চোখ পড়ে আমি শিশু হয়ে যাই! প্রিয়তম হাওয়া আদমকে ক্ষমা করে দাও।

 

বাংলাদেশ

বাড়ি পাকা ইট আসতেছে
লোহা আর সিমেন্টের হাসাহাসি
বালুর গানবাজনা– মুখর উঠোন
বাবা কতেছে– ‘বিয়ে কততি হবেনে কিন্তক!’

সেঁউড়িয়া গিলি খালি লালনের প্রেমিকারা
আমার মাথায় চাপে বসে
ভরাট নদীর পাশে পিপাসার বৃক্ষ বড় অতেছে
ক্যান জানি মহামানব হবার শিশুতোষ লোভে মরণ কাটতিছি

কাল রাততিরি একটা জাহাজে কনে যেন যাচ্ছি
একমাত্র আমিই
একা!
কিন্তু কেন ভয় কততেছে না?

বাংলাদেশ তোমারে কত মানুষে ভালোবাসে
হাজারে হাজার প্রেমিক তোমার
কিন্তু চিরকাল তুমি শুধু একা একা!

Meghchil   is the leading literary portal in the Bengali readers. It uses cookies. Please refer to the Terms & Privacy Policy for details.