পাতামোড়ানো হস্তরেখায় তোমার কি আয়ু ফোটে?
প্রজাপতি টিয়েরা
একটি বেলীফুল পেতে ইচ্ছা করছে। কুড়কুড়ে মুড়মুড়ে নয়, শুনতে যেটুকু সুমধুর গীত এসে লাগে হলকার মত, তদ্রুপ বেলী ফুলটার লাল, নীল খয়েরী আভায় স্বচ্ছ সাদা নীলে আরো কিছু বেলী ফুল ফুটে রবে। ফোঁটায় ফোঁটায় স্বেদবিন্দু জড়িয়ে সেতারে বাজবে সুর। আমরাও শুনবো বেলীতে বাল্যকাল কিক্কনের ঐহিক সাজ। বেলী বেলী ফুলেরা একটি বেলী ফুল পেতে ইচ্ছা করছে। কুড়কুড়ে মুড়মুড়ে নয়, শুনতে যেটুকু সুমধুর গীত এসে লাগে হলকার মত, তদ্রুপ বেলী ফুলটার লাল নীল খয়েরি আভায় স্বচ্ছ সাদা নীলে আরো কিছু বেলী ফুল ফুটে রবে। ফোঁটায় ফোঁটায় স্বেদবিন্দু জড়িয়ে সেতারে বাজবে সুর। আমরাও শুনবো বেলীতে বাল্যকাল কিক্কনের ঐহিক সাজ! বেলী বেলী ফুলেরা বাতাস…
স্রোত
কোথাও একটা ঢেউ বইছে- আম্মার খোঁপায় হাওয়া ফুল গুঁজে দেবে বলে।
চকলেট ও ফুলের গল্প
ফুলের পাশে কিছু চকলেট
ভেবে নিতে পারো আল্পস পর্বতমালায় ও গুঁজে থাকা
ছোট্ট এক রুপালী নাকফুল
আগ্নেয়গিরির ও অগ্নুৎপাত
সুদূর ইউরোপ থেকে ভেসে আসা চেরীদের লিলিফুলের ও ঘ্রাণ
তার অনাদিসৌন্দর্য নগ্নিকা বৃন্তের ডাটামূলে উড়ছে
একটি অনাদিকালের পেলবিত ঠোঁটের পালক
পাতা হাওয়ার কুয়াশা জটর ভেদ করা
মর্মরে ভেসে আসা ঘ্রাণের ও পরশ নেওয়া
একটি ছোট্ট ফুল আর চকলেট
সৌরমণ্ডলীর তাপিত নি:শ্বাসে
তুলো তুলো আভায় স্পর্শিকা
সে আমারি
মেঘমালার চূড়োয় তুষারের ও শ্রাবণ।
অসারতা নিয়ে জন্মানো
এই আমি
দীর্ঘ ঋতুকালীন শৈশবে ও যে তোমার তরে
বাড়িয়ে দেওয়া হয়নি আমার এই অঙ্গুলির
কাবিননামা-
আজকে কে যেন জমিয়ে দিচ্ছে তার
পার্শ্বলতিকায় কুচিকুচি শিশির।
নীড়
ঝরাপাতায় ভোর হচ্ছে। মানুষটি গাছ অবধি ছায়া।
দূরের দ্বীপমালায়
মেনকা রাণী ঘুরে বেড়ায় বনে বনে
ওপারে টিলার সরুমাখা পাহাড়িকা পথ
রোদেরা খেলছে লুকোচুরি
মেনকার হাতে স্বর্নঝুড়ি
মাথায় সীতাহার ফুলঝুরঝুর মালা
শীতে কুকড়িয়ে যাওয়া মেয়ে
বলি ও পাতাকুড়ানো মেয়ে
রৌদ্রবেলায় ডালনাগুলো নিয়ে
করছো কি?
ভোরে ফোটা পাখিদের জিজ্ঞাসু –
তোমার দেশ কই?
কুড়ানো মেয়ে উড়ছে
পাতাগোলক বৃত্তে
পাতামোড়ানো হস্তরেখায় তোমার কি আয়ু ফোটে?