চলচ্চিত্রিক মানসিকতা-৬
মনের ক্ষমতা (পর্ব-২)
মনের ক্ষমতা (পর্ব-১)-এর পর থেকে-
শুধু যন্ত্রের নিয়মই নয়, অনেক গবেষণা করে আবিষ্কার করা হিউম্যান সাইকোলজীর নিয়মগুলোও তারা অনুসরণ করেন। দর্শকদের হাসানোর কিছু বেসিক নিয়ম আছে। কাঁদাবার বা উত্তেজিত করবারও কায়দা কানুন মনোবিজ্ঞানীরা আবিস্কার করেছেন। একটু খোঁজ নিয়ে দেখেন আপনি যে নিয়মে পাড়ার সেরা সুন্দরীটাকে পটালেন বা আপনার অবাধ্য সন্তানকে বাধ্য বানালেন, সেই নিয়ম কিন্তু আপনার আবিষ্কার করা নয়। আপনার বাবা, দাদা বা পর দাদারাও এই নিয়মই অনুসরন করেছেন। অর্থাৎ প্রকৃতপক্ষে জীবন যাপনের যে বেসিক নিয়মগুলো তা কিন্তু আপনাকে মানতেই হচ্ছে। তাহলে ক্যামেরা, লাইট বা এডিট প্যানেলের যে নিজেস্ব নিয়ম তা কেন আপনি মানতে পারবেন না।
যেহেতু প্রখ্যাত নির্মাতারা চোখ বন্ধ করে সেগুলো অনুসরণ করেন। তাই তাদের সবচেয়ে খারাপ সিনেমাটার মানও বেশ উন্নত হয়ে থাকে। এই নিয়মগুলো অনুসরণ করার পর তারা তাদের নিজেস্ব পাণ্ডিত্যটুকু সিনেমায় যুক্ত করেন। আর তখনই তাদের সেই চলচ্চিত্রটি হয়ে ওঠে ইউনিক। অথচ আমরা প্রথমেই নিজেদের একটা নিয়ম বানাতে এবং প্রতিষ্ঠা করতে চাই। মানতে চাই না যে আমাদের মনের ক্ষমতা তখনই যাদু দেখাতে পারবে যখন যাদু দেখানোর প্রেক্ষাপটটুকু প্রস্তুত থাকবে। আর এই প্রেক্ষাপট প্রস্তুত করতে লাগে চলচ্চিত্র নির্মাণ সংশ্লিষ্ট কারিগরি প্রযুক্তি (ক্যামেরা, লাইট, এডিটিং ইত্যাদি) এবং শৈল্পিকতার (কালার, কম্পোজিশন, সেট ইত্যাদি)-এর যথাযথ ব্যবহার।
বিষয়টাকে আরেকটু ব্যাখ্যা করি। এককালে আমার সাইনাসের সমস্যা ছিল। যখনই মাথা ব্যথার মাত্রা আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যেত আমি আমার মায়ের কোলে মাথা গুঁজে রাখতাম। কি এক অলৌকিক উপায়ে আমার মাথা ব্যাথার প্রকোপ কমেও যেত। কিন্তু মায়ের কোল আমার সাইনোসাইটিসের সমস্যা র্নিমূল করতে পারে নাই। ঔষধ এবং নিয়মমাফিক জীবন যাপনের মাধ্যমেই আমাকে এই সমস্যার সমাধান করতে হয়েছে। মায়ের কোল আমার সেই সমাধানকে ত্বরান্বিত করেছে মাত্র। মোট কথা, শুরুতেই মন যা চায় তাই যদি আপনি করতে থাকেন তো আপনার সিনেমা দাঁড়াবে না। প্রথমতঃ চলচ্চিত্র র্নিমাণের নিয়ম কানুনগুলো যথাযথ ভাবে পালন করেন। তারপর যদি সুযোগ থাকে তো সেখানে আপনার মনের ক্ষমতার যাদু মেশান, ইতিহাসের পাতায় আপনার নাম সোনার অক্ষরে লেখা হয়ে থাকবে।
অতীতে কিন্তু আমাদের দেশের পরিচালকরা এই সব বিষয় মানতেন। জহির রায়হান, সুভাষ দত্ত, আলমগীর কবির, এহতেশাম, মোস্তাফিজ, মিতা তারপরের জেনারেশনের শহীদুল ইসলাম খোকন, সোহানুর রহমান সোহান, ছটকু আহমেদ এরা সবাই-ই কম বেশি নিয়ম মেনেই সিনেমা বানাতেন। কিন্তু বর্তমানের পরিচালকেরা নিয়ম নীতির চেয়ে মনের অলৌকিক ক্ষমতার উপরেই যেন বেশি র্নিভরশীল। ভাবখানা এমন যে তারা এ্যবরাকা ডেবরা বলে মন্ত্র ফুঁকে দেবে আর সিনেমার মান উন্নত হয়ে যাবে।
অতীতে কিন্তু আমাদের দেশের পরিচালকরা এই সব বিষয় মানতেন। জহির রায়হান, সুভাষ দত্ত, আলমগীর কবির, এহতেশাম, মোস্তাফিজ, মিতা তারপরের জেনারেশনের শহীদুল ইসলাম খোকন, সোহানুর রহমান সোহান, ছটকু আহমেদ এরা সবাই-ই কম বেশি নিয়ম মেনেই সিনেমা বানাতেন। কিন্তু বর্তমানের পরিচালকেরা নিয়ম নীতির চেয়ে মনের অলৌকিক ক্ষমতার উপরেই যেন বেশি র্নিভরশীল। ভাবখানা এমন যে তারা এ্যবরাকা ডেবরা বলে মন্ত্র ফুঁকে দেবে আর সিনেমার মান উন্নত হয়ে যাবে। খুবই হাস্যকর ভাবে এক পরিচালককে একবার বলতে শুনেছিলাম ‘আগেকার ক্যামেরাগুলো চালাতে ডেপথ অফ ফিল্ড বুঝতে হত। ডিজিটাল ক্যামেরায় এসবের ব্যবহার নেই।’ একথা শোনার পরে আমার মনে হয়েছে কদিন পরে এই সব মানুষগুলো নির্ঘাত বলা শুরু করবে, প্রাচীনকালে সন্তান জন্ম দেয়ার জন্যে যৌনতার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু আধুনিক যুগে শুক্রানু ও ডিম্বানুর সংশ্রব ছাড়াই সন্তানের জন্ম দেয়া যায়।
এবার আলোচনা করা যায় কোটি টাকা দামি সেই প্রশ্নের ২য় অংশ নিয়ে। আমাদের এমন ভয়াবহ মানসিকতার কারণ কি? এমন তো নয় যে আমাদের মাঝে কেউই বই পড়ে না বা জানতে চায় না। বরং অনেকেই আছেন যারা ইন্টারনেট ঘাঁটতে ঘাঁটতে চোখের নিচে কালি ফেলে দিয়েছেন। কিন্তু তারপরও সিনেমা বানাতে গেলে যেই লাউ সেই কদু। কেন?
একটা ঘটনা বলি। এক ছেলে মাঝে মাঝেই আমার কাছে চলচ্চিত্র বিষয়ক টিপস নিতে আসত। তাকে আমি শিখিয়েছিলাম লো এঙ্গেল শট চরিত্রকে বলিষ্ঠ করে। অপর দিকে হাই এঙ্গেল শট চরিত্রকে দূর্বল করে। কেন করে, কি ভাবে করে তার বিশদ ব্যাখ্যাও তাকে দিয়েছিলাম। এবং সে সেটা বুঝেছিল বলেই আমার বিশ্বাস। পরবর্তিতে তার কোন এক শুটিংয়ে ক্যামেরাম্যান হিসাবে ছিল আমার ফিল্ম স্কুল থেকে বেসিকস অফ ফিল্ম মেকিং-এর কোর্স করা এক ছাত্র। পরিচালক ছেলেটি বেশ অনেকখানি নিচুতে ক্যামেরা রেখে শ্যুট করতে বলায় আমার ছাত্রটি বলেছিল, ‘লো এঙ্গেল থেকে শ্যুট করলে তো ক্যারেক্টারটা পাওয়ারফুল হয়ে যাবে। এখানে তো ক্যারেক্টারটা দূর্বল প্রকৃতির।’ পরিচালক তরুণটি নাকি বেশ বিরক্ত হয়ে বলেছিল, ‘আপনি তো দেখি টিংকু ভাইয়ের মত করে কথা বলতেছেন।’
আমার এক চিত্রকর বড় ভাই যিনি কিনা একাধিকবার মার্কেটিং নির্ভর চাকুরী করেছেন, (যা খুবই দূর্লভ একটি কম্বিনেশন) বলেছিলেন, কোন জাতির মাঝে প্রচলিত প্রবাদ বাক্য বা প্রবচনগুলোর মাঝেই সেই জাতির বৈশিষ্ট লুকায়িত থাকে। খুবই পরিচিত একটি প্রবাদ- কাজীর গরু কেতাবে আছে। অর্থাৎ কাগজে কলমে বা দলিল দস্তাবেজে দেখা যায় গোয়াল ঘরে গরু আছে, কিন্তু বাস্তবে তা নেই। বিষয়টা আমাদের জন্যে নিত্য নৈমিত্তিক একটি ব্যাপার।
কর্তৃপক্ষ বলছে এবার ঈদে ঘরমুখী জনসাধারণ কোন রকম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে না। কিন্তু বাস্তবে অনেকেরই ৭ ঘন্টা ভ্রমণ ১৪ ঘন্টাতেই শেষ হয় না। সাংবাদিক দম্পতির হত্যা রহস্য জানতে গিয়ে আমরা আবিষ্কার করি এই পৃথিবীতে কিছু কিছু মানুষ আছে যাদের নাকি কোন ডিএনএ নেই। বলতে পারেন, আপনার যে কোমলমতি সন্তানটি মাইক্রোবায়োলজি বা জেনেটিক্স নিয়ে পড়াশুনা করছে, সে কি পরিমাণ ফাঁপড়ের মধ্যে আছে। কাজি সাহেব তো কেতাবে লিখে রেখেছেন প্রতিটি মানুষেরই একটি করে ডিএনএ সিগনেচার রয়েছে। কিন্তু গোয়াল ঘরে তো ডিএনএ ছাড়া মানুষের বসবাস।
স্কুল কলেজে থাকতে আমার রাজনীতি সচেতন বন্ধুরা যখন আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস বিকৃত করা নিয়ে উত্তেজিত হত তখন রাজনীতি অসচেতন আমি ভাবতাম ইতিহাস নিয়ে এতটা সিরিয়াস হওয়ার কি আছে। এখন বুঝতে পারি বিষয়টার প্রভাব ইতিহাসের সত্য মিথ্যার ডামাডোল ছাড়িয়েও কতটা বিস্তৃত। একজন কিশোর ক্লাশ ফাইভে যা পড়েছে, সিক্সে উঠতে উঠতেই জানতে পারছে তার আগের জানাটা নাকি সত্য ছিল না। মনবিজ্ঞানীরা বলেন, একজন মানুষের মানসিকতা, চেতনা বা ধ্যান ধারণার অবকাঠামোটি গড়ে ওঠে প্রথম ৫/৬ বছরের মধ্যে। আর সেটা পূর্ণতা পায় ১৫ থেকে ২০ বছর বয়সে। ঠিক এই বয়সটিতে আপনি যখন আপনার আত্মপরিচিতি বা শেকড় নিয়ে সংশয়ে পড়বেন, তাও আবার প্রাতিষ্ঠানিক ভাবে (মানুষ প্রথমে মা-বাবা, তারপরে শিক্ষকদের কথাকেই চূড়ান্ত বলে বিশ্বাস করে) তখন সংশয়, সন্দেহ বা অবিশ্বাস যে আপনার মজ্জাগত হয়ে যায়, তা মোটামুটি নিশ্চিত করেই বলা যায়।
অর্থাৎ সব ক্ষেত্রেই পরিস্থিতি এমন যে তত্ত্ব, তথ্য বা পরিসংখ্যানকে মানবার মানসিকতা আমরা হারিয়ে ফেলছি। কাজী সাহেবের রায় মানব নাকি গোয়াল ঘরে গিয়ে নিজে দেখে আসব আসল সত্যটা কি, এই এক দ্বিধা দ্বন্দ্বের মাঝে আমাদের বসবাস। প্রমাণ পাওয়ার পরেও আমরা ভাবি এই প্রমাণটা সঠিক প্রমাণ তো? নাকি ঘটনার আড়ালে আরো কোন ঘটনা আছে যা এখনও ধরতে পারছি না। এরকম পরিস্থিতির মধ্যে মানুষ হওয়া আপনি যদি উইকিপিডিয়া বা গুগল থেকে পাওয়া তথ্যর উপর ভরসা রাখতে না পারেন, তো সেটা কি খুব বেশি অস্বাভাবিক হবে? এমন কি আইজেনস্টাইনের লেখা কোন চলচ্চিত্র বিষয়ক বই পড়েও আপনার মনে হতেই পারে, হাজী সাহেব তো বলল বিষয়টা এমন, কিন্তু আসলেই এমন তো? এরকম পরিস্থিতিতে অধিকাংশ তরুণ পরিচালকই ‘মন যা বলে তাই-ই ঠিক’ ফরমুলায় বিশ্বাসী হয়ে উঠছে।
তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা যে তারা এই দুর্দিনে আমাদের চলচ্চিত্র জগতের হাল ধরেছেন এবং শত ঝড় ঝঞ্ঝার মধ্য দিয়েও ঢাকাই চলচ্চিত্রকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে তারা কোন ভাবেই জহির রায়হান, সুভাষ দত্ত, আলমগীর কবির বা আব্বাস কিয়ারোস্তামী, রাজকুমার হিরানী অথবা জেমস কেমেরুন পর্যায়ের কেউ এখনও হতে পারেন নি। তাই অনুসরণ যখন করবেনই তখন না হয় সর্ব শ্রেষ্ঠদেরই করেন।
আমার ফিল্ম স্কুল ‘ত্রিকোন চলচ্চিত্র শিক্ষালয়’ থেকে এখন পযর্ন্ত অর্ধশতর বেশি ছাত্র বেসিকস অফ ফিল্ম মেকিং কোর্স সমাপ্ত করেছে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, টানা দেড় দুই মাস ধরে যা কিছু শিখিয়েছি তার প্রয়োগ আমি হাতে গোনা মাত্র কয়েকজনকে কয়েকবার করতে দেখেছি। অধিকাংশরাই যা ভাল লাগছে তাই করছে। মনের আনন্দে তারা তাদের মনের ক্ষমতার প্রয়োগ ঘটাচ্ছে।
এই পরিস্থিতি থেকে বের হতে গেলে আমাদের চেতনাগত কিছু পরিবর্তন দরকার। শিল্প বা সৃজনশীলতা যদি পুরোটাই মনের ব্যপার হয়ে থাকে তবে চারুকলার শিক্ষার্থীরা চার পাঁচ বছর ধরে কোন ঘোড়ার ঘাসটা কাটে তা একটু ভেবে দেখার অনুরোধ রইল। শুধু মাত্র মনের ক্ষমতা দিয়েই যদি অভিনয় করা যেত তবে হুমায়ুন ফরিদী, সুবর্ণা মোস্তফা, আফজাল হোসেন, আসাদুজ্জামান নূর, আলী জাকের বা ফেরদৌসি মজুমদারের মত শিল্পীরা দিনের পর দিন থিয়েটারের সাথে কেন যুক্ত ছিলেন অথবা বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে নাট্যতত্ত্বের সিলেবাস কেন ৪ বছরের, এই প্রশ্নগুলোও নিজেকে একটু করেন। করলেই বুঝবেন সৃজনশীলতারও ফরমুলা আছে। তবে তা ফিজিক্স বা কেমেস্ট্রির মত এতটা আপোষহীন ও রসকষহীন নয়।
শিল্প বা সৃজনশীলতার এই সব ফরমুলার সাথে নিজের মনের ক্ষমতাটাকে যত্ন নিয়ে মেশাতে হয়। না মেশাতে পারলে আপনার অবস্থা হবে ধোপার গাধার মত। না ঘরকা না ঘাটকা। আপনার আশেপাশেই দেখবেন অনেকেই আছে যাদের মাঝে কবি কবি ভাব রয়েছে কিন্তু তাদের কোন কবিতা নেই। কারণ তারা হয় সৃজনশীলতার বেসিক ফরমুলাগুলো জানে না। অথবা তাদের মনের কোন বিশেষ ক্ষমতা নেই। প্রকৃতপক্ষে ফরমুলা এবং মনের ক্ষমতা এই দুটো মিলেই সৃজনশীলতা এবং শিল্পের যত আয়োজন। যেহেতু সবার মন এক রকম নয়, তাই একই ফরমুলা ব্যবহার করেও বিভিন্ন জনের সৃষ্টি বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। আর এখানেই একজন সৃজনশীল মানুষের আসল মাস্তানি।
আরেকটি বিষয়ে আমাদের পরিবর্তন দরকার। চলচ্চিত্র বানাতে গেলে আমাদের সংশয় মুক্ত হওয়াটা খুবই জরুরি। রাজনৈতিক পর্যায়ে সংশয় মুক্ত হওয়ার উপায় আমার জানা নেই। কিন্তু চলচ্চিত্রের ক্ষেত্রে সংশয় মুক্ত হওয়ার জন্যে আমাদের দেশের যে সব মাস্টার মেকাররা ছিলেন, তারা যে সব বেসিক নিয়ম মেনে করেছেন, সেগুলোকেই সঠিক বলে মেনে নেন। তাতেও যদি মন না ভরে তবে বিশ্ব চলচ্চিত্রে যে সব মাস্টার মেকার আছে তাদের কাজের পদ্ধতিকে সঠিক বলে মানতে আশা করি আপনাদের কোন দ্বিধা থাকবে না।
চলচ্চিত্র র্নিমাণের কারিগরি ও শৈল্পিক কলা কৌশলগুলো মন দিয়ে শিখেন। একটু সময় দেন। এক লাফে গাছে ওঠা যায় না। সেই সাথে নিজেকে তথ্যগত সংশয় মুক্ত রাখতে বর্তমান সময়কার পরিচালকদের অনুসরণ করা সম্পূর্ণরূপে বর্জন করেন। তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা যে তারা এই দুর্দিনে আমাদের চলচ্চিত্র জগতের হাল ধরেছেন এবং শত ঝড় ঝঞ্ঝার মধ্য দিয়েও ঢাকাই চলচ্চিত্রকে আজকের এই অবস্থানে নিয়ে এসেছেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য যে তারা কোন ভাবেই জহির রায়হান, সুভাষ দত্ত, আলমগীর কবির বা আব্বাস কিয়ারোস্তামী, রাজকুমার হিরানী অথবা জেমস কেমেরুন পর্যায়ের কেউ এখনও হতে পারেন নি। তাই অনুসরণ যখন করবেনই তখন না হয় সর্ব শ্রেষ্ঠদেরই করেন। এভাবে নিজেকে যথাযথ ভাবে প্রস্তুত করেন। তারপরে চলচ্চিত্র র্নিমাণের কাজে হাত দেন। কে জানে হয়ত আপনার চলচ্চিত্রটিই হয়ে উঠবে বাংলাদেশের বর্তমান সময়ের মাস্টারপিস আর আপনি মাস্টার মেকার।
সমাপ্ত