:
Days
:
Hours
:
Minutes
Seconds
Author Picture
নীলাঞ্জনা অদিতি

গদ্যকার, অনুবাদক

মানুষ সব সময় আবেগপ্রবণ সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে যায়

মানুষ সব সময় আবেগপ্রবণ সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে যায়

ইউ মিনজুনকে আমাদের সময়ের অন্যতম উজ্জ্বল চায়নিজ শিল্পী মনে করা হয়। তিনি ১৯৬২ হেইলংজিয়াং প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন, যেটা চায়নার উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত এবং সেই সব শিল্পী প্রজন্মের একজন, যারা শ্রমজীবীদের সাংস্কৃতিক বিপ্লবের মধ্যে বড় হয়েছেন। এটা এমন এক দশক ছিল, যা অবদমন ও ভয়ের দ্বারা চিহ্নিত এবং এমন শিক্ষাব্যবস্থার দশক, যা আদর্শবাদী বিশ্বাস ও নীতির কাঠামোগত। বুদ্ধিজীবীদের গ্রামে পাঠানো হয়েছিল, যাতে তারা কৃষি ও উৎপাদন শিখতে পারে, বিপ্লবে কায়িক শ্রমের মাধ্যমে অবদান রাখতে পারে।

১৯৭৬ সালে মাওয়ের মৃত্যুর মাধ্যমে সংস্কারের একটা সময় আসে এবং নাটকীয়ভাবে অবদমন কমে গিয়েছিল, যা এক নতুন ধারার শিল্পের বিস্ফোরণ দেখে। এই ধারাটা অনেক বড় সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক বদলের মধ্যে উঠে আসে, এক শিল্পের রূপের পথ ধরে যা বিশদভাবে আড়ম্বর ও রাজনৈতিক প্রচারণা দ্বারা আরোপিত। আশির দশক আন্দোলনের জন্য বেশি পরিচিত পঁচাশির নতুন ঢেউসমেত, যা তরুণ শিল্পীদের তরঙ্গ দেখেছিল, যারা সাম্প্রতিক অতীত থেকে শক্তিশালী অনুভূতি প্রকাশ ও সৃষ্টিশীলতার সাথে বাধা অতিক্রম করেছেন।

সেই দিক দিয়ে নব্বইয়ের দশককে নৈরাশ্যবাদী বাস্তবতা ও রাজনৈতিক ফুৎকারের উত্থান দ্বারা চরিত্রায়িত করা হয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে চায়নিজ শিল্পের উপস্থিতির আরম্ভ চিহ্নিত করছিল। পরবর্তী সময়ে নব্বেইয়ের দশক বাণিজ্যিকভাবে সাফল্যের দ্বারা চরিত্রায়ণের দশক হয়েছিল। এই প্রতিটা বিষয়ই বর্তমানে চিন্তাধারা ও শিল্প বিকাশের রূপান্তরে অবদান রেখেছে। অস্ট্রেলীয় ওয়েবপোর্টাল ‘হাফপোস্ট’এ ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ সালে প্রকাশিত এলেনা কুয়ের নেয়া এ সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে তাঁর চিন্তার নানা দিক। মেঘচিলের পাঠকদের জন্য  অনুবাদ করেছেন- নীলাঞ্জনা অদিতি


Execution

এই ঐতিহাসিক এবং অতি বহির্মুখী বদল, যা একই রকমভাবে মৌলিক, আপনার জন্য কি অন্তর্গত বদল এনেছে?

হ্যাঁ, সঠিক। আমার অভিজ্ঞতা, অনুভূতি এবং সাংস্কৃতিক অতীতের কিছু বিষয় আমার বর্তমান শৈল্পিক সৃষ্টির ক্ষেত্রে অত্যাবশ্যক ভূমিকা রেখেছে। উপরন্তু এই অভিজ্ঞতাগুলো আমার শৈল্পিক ভাবনাকে পুনরায় নিশ্চিত করেছে। সাধারণভাবে, চায়নিজরা এমন একটা ধারণা দেয় যে আমরা খুব শান্ত, শান্তিপ্রিয় জনগণ, কোনো উদারতা বা স্পষ্টতা নেই।

মাওবাদী শাসনের পর কীভাবে আশি ও নব্বইয়ের দশকে আপনার প্রজন্মের মুক্ত শিল্প বের হয়ে এল?

আমি ১০ বছর বয়সে ড্রয়িং করা শুরু করেছিলাম, এবং প্রাথমিকভাবে, এই শেখার সময়টায় এবং চাক্ষুষ ছবির সময়ে আমি আশির দশকের পর যেমন দেখেছিলাম, তার থেকে পৃথকভাবে দেখে আমি প্রভাবিত হয়েছিলাম। যা-ই হোক, যদি আপনি শিল্পপ্রেমিক হন, আপনি যখন বুঝতে শুরু করবেন কেন চিত্রকরেরা বিভিন্নভাবে আঁকে, আপনার আগ্রহ বাড়বে। তারপর আপনার আগ্রহ গভীর কৌতূহলে পরিণত হবে এবং আরো জানার জন্য এটা নিয়ামক হিসেবে ব্যবহৃত হয়, ব্যক্তিগত বিকাশের দিকে ক্রমাগত বিবর্তনের মাধ্যমে।

যদিও চায়নায় সাংস্কৃতিক ও শৈল্পিক নিয়ম আছে, বৈদেশিক শিল্পের সাথে পরিচিত হওয়ার পর থেকে বদলটা খুব ভয়ংকর।

শৈশবের কোন স্মৃতিটা আপনার আছে বা আর কী আপনাকে প্রভাবিত করেছে?

অনেক কিছুই আমাকে প্রভাবিত করেছে, বিশেষ করে চাক্ষুষ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে, কারণ সেই দিনগুলোয় আমি যা অনুভব করেছি বা আমি যা মনে করতে পারি, সেগুলো আমার চিত্রকলায় অভিব্যক্তির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে, যা সেখানে প্রেষিত হয়েছে।

আসলে আমার অনেক কাজের মধ্যেই প্রচারণামূলক চিত্রকর্মের মৌলিক প্রভাব আমরা পাই, যা আমার স্মৃতিতে সাংস্কৃতিক বিপ্লবের ওপরই জোর দেয়। উদাহরণস্বরূপ মাথার সারির ছবি, যেটা একটার পর একটা দেখা যায়, এটা সন্দেহাতীতভাবে আমার অতীতের উৎকর্ষকে সামনে আনে।

আমার কাজে হাস্যরস অসহায় অবস্থার, শক্তি ও অংশগ্রহণের অভাবের এবং সেই সাথে সমাজের চাপিয়ে দেওয়া অধিকারের অনুপস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করে। এককথায় জীবনের। এটা আপনাকে অনেকটা সেকেলে অনুভূতি দেয়, যার জন্য মাঝেমধ্যে সাংস্কৃতিক ও মানবিক উদাসীনতার বিরুদ্ধে হাস্যরসই বৈপ্লবিক অস্ত্র হয়।

হাস্যরস কীভাবে আপনার কাজে প্রতিনিধিত্ব করে?

আমার কাজে হাস্যরস অসহায় অবস্থার, শক্তি ও অংশগ্রহণের অভাবের এবং সেই সাথে সমাজের চাপিয়ে দেওয়া অধিকারের অনুপস্থিতির প্রতিনিধিত্ব করে। এককথায় জীবনের। এটা আপনাকে অনেকটা সেকেলে অনুভূতি দেয়, যার জন্য মাঝেমধ্যে সাংস্কৃতিক ও মানবিক উদাসীনতার বিরুদ্ধে হাস্যরসই বৈপ্লবিক অস্ত্র হয়।

সমাজের একটা অংশ হিসেবে বেড়ে উঠে আপনি কি নিজের কাজকে ব্যক্তিবিশেষের ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে ব্যবহার করছেন?

আসলে terracota army of Qin Shihuang Emperor অথবা The Warriors of Xi’an হলো সমাজতন্ত্রের প্রতিনিধিত্বের প্রতীক। তারপর, ব্যক্তিমানুষেরা সেনাবাহিনীর অধীন। যদি আপনি খুব কাছ থেকে দেখেন, প্রত্যেকের আলাদা অভিব্যক্তি; কিন্তু যদি সামষ্টিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে প্রতিফলিত করেন, দেখবেন, প্রতিটা ভাস্কর্যের চেহারা আরো দুর্বলভাবে অভিক্ষিপ্ত হয়েছে।

এই ঐতিহাসিক কাজের থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আমি যখন নিজের ভাস্কর্য তৈরির কাজ শুরু করি, আমার বিশ্বাস ছিল, একই ব্যক্তি বা অভিব্যক্তি ব্যবহার করলে ব্যক্তিমানুষের অনুপস্থিতি বা অস্তিত্বহীনতা আরও নিখুঁতভাবে তুলে ধরত।

Yue Minjun. Photo: luxury insider.

আপনি কি বিশ্বাস করেন আমাদের অস্তিত্বের এই অপরিণত স্বভাবের বিরুদ্ধে মানুষের হাস্যরসকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করা উচিত?

হাস্যরসকে অনুভূতির সাথে সবচেয়ে ঠিকঠাকভাবে মেলানো যায়। প্রতিকূলতার মধ্যে যদি আমাদের হাসার ক্ষমতা থাকে, তাহলে শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রে এবং সামষ্টিক ক্ষেত্রে আমাদের উপস্থিতি আরো শক্তিশালী, সহনশীল ও বৈচিত্র্যপূর্ণ হয়ে উঠবে।

পশ্চিমা চিত্রকলা দ্বারা আপনার কাজ কতটুকু প্রভাবিত হয়েছে? হাস্যরস কি আপনার কাজে কোনো রকম নেতিবাচকতা বা সমালোচনার প্রতিনিধিত্ব করে?

আশির দশকে অনেক বেশি প্রভাব ছিল, সংস্কার সাধনের প্রতি ধন্যবাদ, সেই সাথে চায়নার উন্মেষের প্রতিও, এইটা আমাদের কাছে নানা রকম বিদেশি সংস্কৃতির প্রভাব হিসেবে এসেছে। সেই সময় আমি চিত্রকলা বিষয়ে পড়াশোনা করছিলাম আর আমার এই ধরনের কাজের  সংস্পর্শে থাকার সুযোগ হয়েছিল, যে কারণে আমার শিল্প সৃষ্টিতে বাইরের প্রভাব খুব সম্পর্কিত। আমার বিকাশমান অভিব্যক্তিতে আমার পুরনো কাজের গুরুত্বপূর্ণ অংশ আছে, যা বাস্তববাদের স্মারক, যেটা একই সাথে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন যাচাই করেছিল, যেমন বিপ্লব, সমাজসংস্কার, সেই সাথে অবশ্যই জীবনের প্রতি নেশা। তারপর আমি পিকাসোর মতো শিল্পীদের জানতে পারছিলাম এবং পাশ্চাত্যের চিত্রকলার দিকে যাচ্ছিলাম চাক্ষুষ অভিব্যক্তির প্রতি প্রতিফলন করতে গিয়ে।

আমার মনে হয়, প্রতিনিধিত্বটা এমন, আরো সাধারণভাবে, আমার কাজগুলো আরো ব্যাপক অর্থ তৈরি করবে চায়নিজ এবং পাশ্চাত্যের দর্শকদের জন্য।

আপনি কি আপনার কাজে হাস্যরসকে সমালোচনার উপাদান হিসেবে ব্যবহার করেন?

হ্যাঁ, সঠিক। এই কারণেই আমি হাস্যরসকে আঁকতে বেছে নিয়েছি, যাতে আনন্দ আর খুশির অনুভূতির সাথে যোগাযোগ হয়, কিন্তু আসলে এটা নাটক ও কষ্টের দ্বিগুণ দৃষ্টিভঙ্গিকে লুকায়।

A-maze-ing Laughter by Yue Minjun in Vancouver. Photo: Cameron Norman

আপনার অনুপ্রেরণার উৎসগুলো কী কী আর আপনার এই নান্দনিকতা কোথা থেকে আসে?

আসলে আমার পাশ্চাত্যের প্রভাব নান্দনিকতা বা পদ্ধতিগত চেহারায় আসেনি বরং মূর্তিশিল্পের চেহারায় এসেছে। আদিকালের পশ্চিমি চিত্রকরেরা এসব জানতেন ও এই জ্ঞান নিজেদের চিত্রকলায় ব্যবহার করতেন, যেটার বিভিন্ন ব্যাখ্যা ছিল পাশ্চাত্য ও চায়নার মধ্যে। সুতরাং আমিও মূর্তিশিল্পের ব্যবহার অনুশীলন করেছিলাম, আমি যা বোঝাতে চাই, তার ব্যাখ্যার চিত্রণ করতে গিয়ে।

আমার কাজের ব্যবহৃত যে নান্দনিকতা ও পদ্ধতিগত যে বিষয়টা, সেখানে যে কেউ নির্দিষ্ট সাধারণত্বকে প্রশংসা করতে পারে বিশ্ববিদ্যালয়ে আমার প্রশিক্ষণের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে। এর ভালো উদাহরণ হলেন আমার শিক্ষক, যিনি সেন্ট্রাল একাডেমি অব ফাইন আর্টস থেকে স্নাতক হয়েছেন, আর সেই সময়ের ফান্স ও সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে পদ্ধতিগত বিদ্যা শিখেছেন, ইঙ্গিতময় চিত্রাঙ্কন দ্বারা প্রভাবিত হয়ে কীভাবে বস্তুকে নিরীক্ষা করতে হয়; তিনি আলো-ছায়াসহ নানা কিছুর ছবি এঁকেছেন। যা-ই হোক, আমি কারও মাধ্যমে যে পদ্ধতিগুলো শিখেছি, সেই পদ্ধতিগুলোই ব্যবহার করেছি, স্বতঃস্ফূর্তভাবে বা উল্টোপাল্টা ভেবে আঁকিনি।

আমার নান্দনিক ভাব তৈরি হওয়ার সময় যখন আমার নিজস্ব অনুভূতি ও দৃষ্টিকোণের শুরু হচ্ছিল, আমি ভেবেছিলাম, আমার কাজ যতটা সম্ভব সাধারণ হওয়া উচিত কোনো নিয়ন্ত্রণ ছাড়া; প্রাথমিক ফলাফলের এদিক-সেদিক না করে সব রকম কুতর্ক বাদ দিয়ে। আসলে আমি দাবি করি যে আমার কাজ সরাসরি বোধগম্য, সুন্দর ও সরল, যেখানে উজ্জ্বল রং ব্যবহৃত হয়েছে, যাতে দর্শকের তাৎক্ষণিক আগ্রহ হয়।

আমার কাজের রাস্তা মানুষের স্বভাব ও অস্তিত্বের মধ্যে প্রতীকী। কারণ আমি খেয়াল করেছি, শুধু প্রাচ্যে বা চায়নায় নয়, মানুষ সব সময় আবেগপ্রবণ সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে যায়।

আপনার স্বভাবজাত বিষণ্নতা কোথা থেকে আসে আর এটা আপনাকে কোথায় পরিচালিত করে?

যখন আমি নিজের সংস্কৃতিকে লক্ষ করি, তখন যে হতাশা হয়, সেখান থেকে এই বিষণ্নতা আসে। মানে আমার পারিপার্শ্বিক সমাজ, তাদের ও আমার নিজের জীবনধারা।

মানুষ আপনার কাজকে কীভাবে নেবে বলে আশা করেন?

আমার কাজের রাস্তা মানুষের স্বভাব ও অস্তিত্বের মধ্যে প্রতীকী। কারণ আমি খেয়াল করেছি, শুধু প্রাচ্যে বা চায়নায় নয়, মানুষ সব সময় আবেগপ্রবণ সংঘর্ষের মধ্য দিয়ে যায়।

আমি দেখাতে চাই কীভাবে চিত্রণের মাধ্যমে ব্যক্তি জাগ্রত থাকতে পারে এবং কীভাবে প্রকৃতি আর জীবনের মূল ধারণাকে বিশদে বোঝা দরকার।

আমার কাজ অতিরিক্ত নাটুকে কিছু করার চেষ্টা করে না আর কষ্টকর কিছুর অনুপস্থিতির জন্যও না। মানুষ পারিপার্শ্বিক কারণে কী অনুভব করে, তাই দেখাতে চাই বা বস্তুবাদের মাধ্যমে কোনো অতীত অভিজ্ঞতা থাকলে সেটা; এটা মানুষের আত্মাকে মুক্ত করে না, এটা জোর করে মানুষকে দাসত্বের পথে চালনা করে।

Sheep Herd, oil on canvas, 2001

আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আর বাণিজ্যিক সাফল্য আপনার জন্য কেমন অর্থবহ?

আমার ক্ষেত্রে আমার কাজে যে সামাজিক প্রতিক্রিয়া ছিল আর আমি যে দেশে থাকি, সেখানে এগুলোর ছড়াছড়ি খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। কারণ, সেটা আমার ব্যক্তিগত বিকাশ ও শিল্পের স্বীকৃতি ত্বরান্বিত করেছিল।

আমি জেনে আনন্দিত যে আমার বেশির ভাগ কাজ অনেক মানুষ স্বীকৃতি দিয়েছেন আর এটা সেভাবেই প্রতিফলনে ও উপলব্ধিতে অবদান রেখেছে, যেভাবে একজন শিল্পী সমাজের সাথে সংযোগে অভ্যস্ত।

আপনার চিত্রকলার ভবিষ্যৎ কী?

আমার সৃষ্টিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বদল এসেছে। আমার জীবনে বিভিন্ন প্রভাব আসার কারণে, যেমন সাংস্কৃতিক বিপ্লব অথবা সংস্কারের সময়কালীন। আসলে আশির দশকটা গুরুত্বপূর্ণ সময়, একটা দারুণ সামাজিক পরিবর্তনের সময়।

অবশ্যই এসব বদল বস্তুবাদের বিকাশের দিকে নির্দেশ করে। পরবর্তী সময়ে আমি আমার কাজে হাস্যরসের মূল আবিষ্কারের দিকে বেশি আগ্রহী ছিলাম। আপনি কেন হাসছেন? কেন এখানে এমন হাসির উদ্রেক হলো? আমি বুঝতে পেরেছি যে এইটা আমার নিজের ঐতিহ্য, সংস্কৃতি। আমার হাসির প্রতিফলনের ফলে আমি আমার অনেক কাজকেই বিভ্রমের সাথে সম্পর্কিত করেছি, যেটা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, দ্বিধার অনুভূতি, হারানো ও অন্ত্যজ প্রশ্নের অনুভূতিকে প্রকাশের চেষ্টা করছি, যা ব্যথার সাথে ছান্দিক।

 

Meghchil   is the leading literary portal in the Bengali readers. It uses cookies. Please refer to the Terms & Privacy Policy for details.