[ ’৮৪র শেষ দিকে প্রিয় লেখককে একটা চিঠি লিখেছিলাম। সে চিঠির মুন্সিয়ানাপূর্ণ ভাষ্যে আমি যে ’৭৮ সাল থেকে তাঁর ‘তোমাদের জন্য ভালোবাসা’ দিয়ে শুরু করে সর্বশেষ বইটাও পড়েছি, এই তথ্য জানাতে ভুলিনি। ’৪৮-এ তার জন্মসালের সঙ্গে সালমান রুশদীর ‘মিডনাইট চিলড্রেন’ মিলিয়ে কী একটা পাণ্ডিত্যও জাহির করেছিলাম। উদ্দেশ্য একটাই— লেখক আমার বৈদগ্ধ্যে মুগ্ধ হয়ে চিঠির জবাবটা যেন অবশ্যই দেন। চিঠি এল দ্রুতই। চিঠিটা আজও যত্ন করে রেখেছি। চিঠি পড়ে বুঝলাম তাঁর সবই যে আমার পড়া সেটা ঠিকই ধরেছেন, তিনি ‘অভিভূত’ হয়েছেন আর ডিপার্টমেন্টে গিয়ে গল্প করার দাওয়াতও পেলাম; কিন্তু আমি যা মুখচোরা! পুনশ্চ: দিয়ে লিখলেন, ‘চিঠির ভেতর ঠিকানা লেখা খাম দেওয়াটা কি এক ধরনের অভদ্রতা নয়, যেন ভাবা—এক টাকার জন্যে আমি চিঠি লিখব না!’ চিঠি পেয়ে খুশি হলেও একটু অফ হয়েও গেলাম। আর লিখিনি তাঁকে। ]