তোমার রৌদ্রদিনে চলে যেতে পারি
রৌদ্রদিনে
তোমার রৌদ্রদিনে
চলে যেতে পারি।
ছায়ার আড়াল থেকে
শীতল গুমোট ছেড়ে
বিচ্ছুরণে ফসলের মাঠে নদীতীরে-
প্রগাঢ় নীলিমায় শান্ত সবুজে,
মুহূর্তের সহজ ডানায়
উড়ে যেতে পারি।
অনুচ্চারে ধীরে
কখনো-
তোমার রৌদ্রদিনে
ক্ষতের গভীরে।
আশা ১
উজ্জ্বল ফুল হবো গন্ধহীন; হবো রঙমগ্ন চির অভিভূত। সর্বাংগে কাঁটা নিয়ে স্বপ্নে প্রায়ই, মাথা তুলছি রুগ্ন বৃন্তের বুকে, অনামী পাপড়ির মত দ্বিধায়। নুয়ে পড়ছে চারপাশ সরল মায়ার খেলা, শখের ঝাঝরি থেকে অমৃতবিন্দু, প্রবল ঝরছে মুহুর্ত। পায়ের তলায় কালো মাটি ভেজা শরীর আহবানে, মরিয়া বোঝাপড়ায় যেতে চাই উদ্ভিন্ন রোদে। আশা, তুমি আলো হয়ে বসে আছো কবাটের অন্য পিঠে প্রতিটা সকালে। ভগ্ন আঁধারে পিপাসার্ত আমি; চুরি যাওয়া খানিকটা আঁচে এই আগ্রহী চেয়ে থাকা, অপেক্ষা- তুমি তা জানো। বেলবাটনে আলতো আঙুল, ঘরময় মিথ্যে পাখির ডাক, দরজায় হাজির কত সম্ভাবনা। অথচ বাঁচতে চেয়ে জানালার এপারে ডুবে যাচ্ছি ঘুমে, রোদের স্বপ্নে, আশায় সন্দেহে।
আশা ৬
আশা, একদিন এভাবেই
সমুদ্রে নেমে যাব।
দু’হাতে ছড়াতে ছড়াতে
জাদু শব্দ নীলিমায়
বালি ওড়াতে ওড়াতে-
গুণে নেব ঢেউ অশ্বক্ষুর
খুচরো বিকেলের চোখে
চোখ রেখে,
তোমার তীর থেকে
প্রায় চেনা
অতলের দিকে।
ভুলের গল্প
অনেক কাছেই গেলাম
জানলাম, স্তরভেদ পলিজমা
নদীর গান ও স্রোত
ঢেউয়ের আখ্যান।
এবার যদি আসে নেমে
আর নিজের গল্প বলে
ভুল করে জিভ কাটে কেউ-
কেন একার স্বর্গ খুন হলে
কান্নায় হেসে ফেলে?
ভুল করে; আমাকেও বলে
গহনে ডুব দাও,
তুলে নাও পাথর ঝিনুক
ভুলে যাওয়া নাম
কিছু রোদ, উৎসুক।
ভেজা চুল উঠে এসো শব্দশরীরে
প্রীতির সকাল আজ
তোমায় চিনুক।