

সেলিম মোরশেদের পদ্য-ছড়া
সেলিম মোরশেদের দু’টি পদ্য
খবর – ২
দীপাঞ্জনা, নওমি ও প্রভাতী-কে
হাওয়ার মতো ত্বরিত বেগে
খবর এলো
সেই মেয়েটাও ফসকে গেলো।
কপালে তার আগুন ছিলো
বুকের ভেতর ফাগুন ছিলো
ঠোঁটের ওপর কাঁপতো শুধু
‘কখনো না’ ‘কখনো না’।
খবর এলো
সেই মেয়েটাও ফসকে গেলো—
সূর্যাধারে কেটে গেল কয়েক বছর।
বোধের ভেতর আরশোলাদের
কাটুশ কুটুশ, গায়ে গতর
গুটিকতক ছেলেরা তার যুদ্ধে গেছে।
ধূসর রঙের চুলের ভেতর হঠাৎ করে
আঁধার এলে—
খবর এলো
একশো বছর পরে নাকি
সেই মেয়েটি ফিরে এলো।
প্রেমের নীলজল
প্রতিরাতেই স্বপ্নে দেখি
একটি মেয়ে
নীলাভ সুতোয় আঁধার বোনে,
অহরহ আঁধার বোনে
ঘনআকাশ—যুগল চোখে চেয়ে।
হাত দুটো তার বুকের ওপর
গুণচিহ্নে
কাঁপা কাঁপা পাথরচাপা
হরিদ্রাভ
শুভ্র কুসুম পেলবতা উপেক্ষিত।
কষ্ট পেলাম
শরীর জুড়ে এখন আমার শস্যদানা
ঠোঁটের কোণে রক্তকণা
ক্রুশবিদ্ধ যিশুর মাতা মেরি নাকি?
মুখের দিকে চেয়ে আমায়
বললো মেয়ে—
কাঁচা বাঁশে ঘুণ ধরেছে
দ্যাখ না চেয়ে:
‘চোখের বালি’, পেশীর কসম
শোন্-না আগে কথাগুলি।
ধুত্তুরি ছাই!
এই মালী—!
ফুলের রসে ঠোঁট ভেজালে
পড়বে মুখে চুলকালি।

সেলিম মোরশেদের একটি ছড়া
সেভ আওয়ার সোলস
তন্দ্রিমা, কৃত্তিকা ও সুকন্যা-কে
ইঁদুরের চোখে ধার! দাঁতে ধার
ধার ধার।
ছোটো ছোটো ধারালো
চিকচিকে আলপিন
ছিদ্রে ছিদ্র ক’রে
শিঙ থেকে কেটে কেটে শাঁস খায়।
ধরাশায়ী ষাঁড়টার
জিভ থেকে
চোখ থেকে
চুষে চুষে তক্ষুণি
তুলে নেয় তারপিন।
সুলতান এগিয়ে
পেশীটাকে বাড়ালো
গায়ে কালোজামা মুখে
বাঁশি নিয়ে দাঁড়ালো।
মোরগফুলের ঝোপ
আপোষবিহীন
তারালোকে হাসি মুখ
জয়নুল আবেদীন।