পয়ারে রচিবো আমি গভীর প্রণয়
রাধাভাব
কেনো রে ইরম তুমি ইতা খালি লেখো, কেনো রে ইরম তুমি ইতা খালি দেখো! পয়ার পয়ার করে কলঙ্ক জগতে, পড়েছো তুমিও ধরা পথে আর মতে। তোমারে দিয়েছে খোঁটা যত আরিপরি, পরেছো কলঙ্ক মালা রাধাভাব ধরি। কেনো রে ইরম তুমি বন্ধু বন্ধু করো, কেনো রে ইরম তুমি শব্দজ্বরে মরো! ভাবে থাকো ভাবে মজো সেই সুর ধরো, তুমিও বন্ধুরে বুঝি পয়ারে বিচারো! বিচারো বিচারো তুমি যা বলুক লোকে, ধরিও বন্ধুর হাত কান্না ভরা বুকে। নিন্দামন্দ নিয়া থাকো বাতেনি মোকামে, লোকনিন্দা পুষ্পগন্ধা কী হবে সুনামে!
জপো রে ইরম তুমি বন্ধু বন্ধু জপো, জপো রে ইরম তুমি শব্দ শব্দ জপো! তোমার কলঙ্ক কালি নিশ্চয় মুছিবে, তোমার নিন্দার কাল নিশ্চয় ঘুচিবে।
দাগ
তেপথী পথের কথা মনে রাখি। ফাঁড়িপথ। সবুজ ঘাসের ভিড়ে। তোমার সিঁথির রূপ। আঁকাবাঁকা। কিছুটা গভীর। কিছুটা ধবল।
কতো না পথিক এই পথে এলো আর গেলো। দুই পাশে ঘাসগুলো সবুজ সতেজ হলো। আর সেই ফাঁড়িপথ। সিঁথির সিঁদুর। আরো বেশি স্পষ্ট হলো। আরো বেশি দাগ হলো নিজস্ব নিয়মে।
জানো তুমি। আমি সেই পথের পথিক। অন্ধ বধির প্রেমিক। তেপথী পথের রূপে মগ্ন থাকি। তুচ্ছ করি ভয়। লোকলজ্জা। বিবিধ প্রণয়।
ছন্দশাস্ত্র
পয়ারে লিখেছি নাম। অক্ষরবৃত্তের চালে আরো কিছু লিখে যেতে চাই। এই সব মাপজোক, এই সব হিসাব নিকাশ, বাড়ে শুধু তোমাকেই ঘিরে। পয়ারে রচেছি কিছু তোমার সুনাম। সুখ্যাতি হয়নি কম। কুখ্যাতিও কপালে জুটেছে। তবু আমি আরো কিছু লিখে যেতে চাই শুধু পয়ারে মাত্রায়।
তোমার বাড়ির কথা মাত্রাবৃত্তে একবার লিখেছিলাম খুব। তাতে করে মেঘ বড়ো নেমেছিলো তোমাদের মাঠে। সেই বার তুমি খুব ভিজেছিলে নৃত্যে। হয়তো কিছুটা স্বরবৃত্তে। সেই সুখে মাছগুলো ছুটেছিলো উজানে ভাটিতে। আর আমি সেই কথা মনে করে বহুদিন পর আজ ভেবে দেখি হয়তো স্বরবৃত্তেও লেখা যায় মন। আকাঁ যায় তোমার চরণ।
তবু আমি পয়ারেই ডাকিবো রোজ। নাম ধরে। তোমাকেই। তুচ্ছ করে লোকলজ্জা ভয়। পয়ারে রচিবো আমি গভীর প্রণয়।
প্রচ্ছদ : রাজিব রায়