চিঠি বেঁচে ওঠে আমাদের আত্মায়
চিঠি
চিঠি পুড়ে গেলে হারায় অক্ষরেরা,
রঙিন কালির গন্ধ
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অণুকথাগুলোর
অলংকার মুছে যায়,
স্পর্শমাখা হাত পুড়ে যায় যেন,
যায় অঘুম চোখের চাহনি
তোমার ঠোঁটের জ্যামিতিক ছাপ।
চিঠি পুড়ে গেলেও
চিঠির ভাষা
থেকে যায়
বিলবোর্ডের অক্ষরে,
কখনো আরেকটি হলুদ খামের ভেতর।
ছাইয়ের- মৃত
আঁশের স্তূপে
পোড়া গন্ধ
একটি কাগজের মৃত্যু শোক করি আমরা।
বার বার সেই চিঠি বেঁচে ওঠে আমাদের আত্মায়
মরীচিকা
মরীচিকা, তুমি যেখানটায়
চোখ রেখেছো বার বার
যত দূর দেখছো উত্তর দক্ষিণ মাপছো,
হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা হেঁটে যেতেই
মরীচিকা হারালো
তুমি তাকালে
ঢেকে দেয় শামুখের খোলস
তোমার মুখ তোমাকে আর এক ঝলক রোদ
প্যালেস্টাইন শিশুটি
বোমার শহর, গজ হতে গজে ছাই
একটি বারুদের আঘাতে
প্যালেস্টাইন শিশুটি রক্তাক্ত জামা,
গতকাল হইতে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাঁটছিল
তার মায়ের মুখ খুঁজতে
জেরুজালেমের পথে
পাহাড় ডিঙিয়ে এসে
খোঁড়া পায়ে দাড়ালো
আল-আকসার সামনে,
তখন শুক্রবারের
মোনাজাত শুরু হলো,
শিশুটির খুব খিদে পেলো
শনিবারে সকালে ওয়েলিং ওয়াল
ভক্তদের আলোকিত প্রার্থনায়,
তাঁর ঘুম ভেঙ্গে গেল
ভিড়ের ভেতর
মায়ের মুখ হারাতে থাকে…
কিছুই চোখে পড়ে না
পিপাসায় ক্লান্ত,
রবিবারে বেথেলহামের সামনে এসে
সে ক্রুসেড এর দিকে চেয়ে রইলো,
ও মা, কোথায় তুমি? এখানে?
শিশুটি তিনদিন এখানে কাটিয়ে দিলো
এখনো কেউ তাঁকে
মায়ের খোঁজ দিতে পারলো না…
প্রচ্ছদ : রাজিব রায়