

কাটা সাপের মুণ্ডু
চাটাইয়ের অপরিণত ত্রিকোণ ছিদ্রে পিচুটিভরা চোখে, সামনের জামগাছসমেত সকালের সুচিক্কণ টানটান রোদে, মুহূর্তে সজ্ঞান হেমাঙ্গিনী জেগে উঠে পা ভেঙে ভেঙে খুপরি ছেড়ে বড়ো রাস্তার মোড়ে এলো। মুসলমানরা হেমাঙ্গিনীকে পয়সা দিয়ে আপিসে গেলো। শিশুদের দু’পায়ে শাদা ধবধবে মোজা। হেমাঙ্গিনী বসলো একটা জনবহুল ক্ষেত্রমুখে, ব্যস্তচলাচল গাড়ি এবং মানুষের উপস্থিতি সেখানে উৎকট। তার চারপাশে অফুরন্ত ধুলো। টুকরো চটের ওপর গোটা দু-এক দশ-পয়সা অথবা সিকি—নিরিবিলি।
ধুলোয় নড়ে উঠলো হেমাঙ্গিনী। বাম ঠ্যাং ব্যাঁকা। মিহি করে আঙুলগুলো কাটা থাকায় সে ঠ্যাং-এর পাতা খড়মের কাঠ। হেমাঙ্গিনী পেটে থাকতে তার মা বটি দিয়ে ঢ্যাঁড়স টুকরো করে আগুনে সেদ্ধ করে খেয়েছিলো, তাই পাঁচটা আঙুল সে সময় পেটের ভিতর গলে গেলো। হেমাঙ্গিনীর মা দুঃখে কথাটা বলেছিলো মরার আগে।
ডান হাত কী করে নুলো হলো হেমাঙ্গিনী টের পেলো না। চার মাস আগে সচল ছিলো; যখন সে পা খুঁড়িয়ে শীর্ণ দেহটা টেনে টেনে ভদ্দরলোকদের সংস্পর্শে যেতো, তার ডান হাত তখন ‘মেয়েলি’— অথবা কী এক অজ্ঞাত কারণে বুকের সঙ্গে লেপটে থেকে মুষ্টি থাকতো আপন গলার দিকে, জানতো, এ-ভাবে হাত বুকে থাকায় সে ভদ্দরলোকদের কাছে দস্তুরমতো বিশ্বস্ত। কয়েকটা কাজ ছাড়া হেমাঙ্গিনী এ-হাতটা ব্যবহারে তেমন উৎসাহী ছিলো না; তবে হাত তার নিয়ন্ত্রণে ছিলো।
নিজের খুপরিতে একদিন হালকা হলদেসহ জলপাইরঙা এবং লেজ ক্রমশ সরু ও কুচকুচে কালো মোটা লাঠির মতো দু’হাত লম্বা বিষাক্ত সাপ দেখে হঠাৎ মনে হয়েছিলো হেমাঙ্গিনীর, গত কয়েকদিন তার হাতটা মুহূর্তের জন্যেও বুক থেকে স্থানান্তর হয়নি। তাজ্জব হয়ে কয়েকবার চেষ্টা করে, তারপর অবাক হয়ে বুঝেছিলো, হাতটা বুকের সঙ্গে গেঁথে আছে অটল, নিয়ন্ত্রণহীন। হেমাঙ্গিনী যতোবার নাড়াতে চাইলো, ব্যর্থতায় মুষ্টির আঙুলগুলো গলা চুলকিয়ে দিলো ততোবার।
হাত বুকের সঙ্গে লেগে থাকলে বুক দেবে যায় : যে-ইচ্ছাশক্তি দিয়ে হেমাঙ্গিনী তার হাত নিস্পৃহ করে বিশ্বস্ততা অর্জন করেছিলো—সে-ইচ্ছাশক্তি দ্বিগুণ করেও হেমাঙ্গিনী তার হাতকে সচল করতে পারলো না।
ফলত খুপরির ভেতর বিষাক্ত সাপের অবস্থান তাকে হীনমন্য করলো।
বড়ো রাস্তার ধুলো কেটে কেটে হেমাঙ্গিনীর চলাচল। শহরে ভিখিরিদের সংখ্যা কমে গেছে। গভমেন্ট ভিখিরি পুনর্বাসন নামক এক আস্তানা করেছে, সেখানে ওদের খাওয়া-দাওয়া নি-রা-প-ত্তা-র ব্যবস্থা আছে। ধিঙ্গি বললো, ‘হেমাঙ্গিনী, ওদিক আমি যাব নানে, খাওয়া পরার নামে ওরা আমাদের মেরে ফ্যালবেনে, মেরে ফেলে ফকির কুমোবে ওরা।’ সে আরও বললো, ‘দু-তিনশো ফকির নাকি গ্রামের দিকে চলে গেছে।’ হেমাঙ্গিনী এসব শুনলো, গেলো না কোথাও, খুপরির ভেতরেই সে নির্বিঘ্নে মরবে।
তার খুপরি এক পুরনো জংশনের পেছনে। এ-জংশন নিশ্চল এবং ভাঙা। এ-পথে রেল চলে না এখন। লাইনের পাটিগুলো এখন ঝড়ে-পড়া গাছের শেকড়ের মতো মাটি থেকে উপড়ে গিয়ে বেঁকে এদিক ওদিক ছড়িয়ে পড়েছে। দিনে সেখানে দু-একটা গরু ঘাস খায়। স্বল্প স্পন্দনপুষ্ট এ-জায়গায় চার ঘর বস্তি আছে। কাচ্চা-বাচ্চা, মেয়ে-মরদ নিয়ে দশ জন হবে : তারা অধিকাংশই কৃশ, রোগাক্রান্ত, আপসকামী অনাথ মানুষ। এখানে আলো নেই, অন্ধকার প্রকট, বিড়ির আগুনে রাতের অন্ধকার গোমেদ-কালচে হিম। একমাত্র মসি এখানে সুস্থ ও সুঠাম পুরুষ, সে কালো হলেও দয়ালু, তার বয়স ত্রিশ। মসির অর্ধেক বয়সটা হেমাঙ্গিনী নিয়েছে। রাতের বেলায় খুপরিতে ফেরার সময় মসিকে দেখলো হেমাঙ্গিনী, ভাত খাচ্ছে। হেমাঙ্গিনীকে দেখেই বললো, ‘তোর চুলোয় আগুন দিয়ে আইছি—চাল চড়াবি নাকি?’ এ-কথায় হেমাঙ্গিনী হালকা প্রসন্ন হলেও উত্তর দিলো না।
সারাদিন আয় তার ত্রিশ পয়সা। সকালে পয়সাগুলো দিয়ে একটা রুটির অর্ধেক খেয়েছে ইটের হোটেল থেকে। আর একজনকে সঙ্গে নিয়ে ষাট পয়সা দিয়ে আটার একটা রুটি কিনে হেমাঙ্গিনী আর সে লোক খেয়েছে। পলকে অর্ধেক রুটি পেটের ভেতর মিশে যাওয়ায় হেমাঙ্গিনী রেগে আছে তখন থেকে। খুপরির ভেতর মাটির লেপা চুলোয় আগুনের নীলচে আঁচ রবীন্দ্রনাথকে পুড়িয়ে দিয়ে মরা হাড়ের অস্তিত্ব সারা খুপরিতে ছড়িয়ে দিয়েছে। চুলোর পাশে কলস, তোবড়ানো মগ, হেমাঙ্গিনীর ফুটো থালা, থালার কোণে কিছু লবণ, জং-ধরা বটি, আর হেমাঙ্গিনীর সংসার।
পাঁচ হাত লম্বা খুপরিটার উচ্চতা প্রায় চার হাত; উপরে ছাদ হিসেবে ভাঙা টিন—ছেঁড়া ত্রিপল —ক’একটা কঞ্চি এবং ধূসর গোলপাতা। চারপাশে মাটি ও চাটাই একত্রে গ্রথিত। বস্তি বস্তিই। হেমাঙ্গিনী এক মগ পানি খেয়ে প্রায় শেষ হয়ে যাওয়া কেরোসিন ল্যাম্পে আগুন জ্বালিয়ে চাটাইয়ের দরোজা টেনে শুয়ে পড়লো। সে মাটিতে শুয়ে পড়লে শরীর অবশ হয়ে ওঠে, ডান পায়ের বৃদ্ধাঙুলি থেকে বুকের পোকে-কাটা আলুথালু দুধদুটোয় ক্ষুধা ও ক্লান্তির রোদ-গলা তামা। হেমাঙ্গিনী চোখ উপরদিকে তুললে সেখানে গোলপাতা গলিয়ে আকাশ দেখা যায়, নক্ষত্রবিন্দু সূর্য হয়ে হেমাঙ্গিনীর চোখের ভেতর জ্বলে;— হেমাঙ্গিনী তাকিয়ে থাকে নির্নিমেষ।
সাপ-পোড়া গন্ধে সবাই উদ্গ্রীব থাকে—দুপুরবেলা সে রাস্তায় দেখলো — সরকার গাড়িতে বসে মাইকে বলছে—কালো ধোঁয়ার গন্ধে অথবা জোরালো শব্দে হৃৎপিণ্ড খিঁচিয়ে যায়—খিঁচিয়ে যায়। কিন্তু শব্দহীন হেমাঙ্গিনী সে কথা মানে না — প্রচণ্ড ঝোড়ো শব্দে অনেক অবিদ্ধ মগজ ফেটে যাক। চৌচির হোক।
নির্বিকার আকাশ দেখছিলো হেমাঙ্গিনী। হঠাৎ গোলপাতার ভেতর নড়াচড়ার শব্দে দেখলো চর্বিযুক্ত পেটিটা স্পষ্ট হচ্ছে আরও। তার সারা শরীর শিরশির করে উঠে মাটির ওপর দুলে উঠলো।
সে যেখানে শুয়ে আছে সেখান থেকে খুপরির ছাদ উঠে বসে হাত দিয়ে ধরা যায়। মাথা এবং লেজসুদ্ধ পুরো সাপটা হেমাঙ্গিনী দেখতে পাচ্ছে। পেটিটা কাঁপছে টিকটিক করে। হেমাঙ্গিনী ভয় পেলো, মনে হলো, এখন তার অবস্থান কোনো অন্ধকার শ্মশানে, যেখানে হিমচিতা জ্বালিয়েছে কেউ, হেমাঙ্গিনী চুল পোড়ার গন্ধ পেলে সাপটা নড়ে উঠলো ফোঁস করে।…
অনেকদিন পর হেমাঙ্গিনী জেনেছিলো তার মা সে-সময় গোপনে শরীর বেচতো, বেচতে বেচতে মা যখন লোম-ওঠা বয়সী কুকুর হলো—মাদী কুকুরের মতো মায়ের ঊরুসন্ধিতে টকটকে লাল জরায়ু বেরিয়ে পড়ে যোনিমুখে ঝুলে গেলো তামাম দুনিয়ার মতো;—তখন ক্ষুধা, কী ক্ষুধা! হেমাঙ্গিনীর মা দু’গ্রাম পেরিয়ে এক জলার ধারে যেতো;—সেখানে গেলে জলার পানি কমে যেতো, আর তেলো টাকি চ্যাং জ্যান্ত দু-একটা ধরে আঁচলে কলমি শাক নিয়ে সন্ধ্যায় মা যখন ফিরতো, পুরনো কালের নাঙ ওসমান দু’কৌটো চাল দিতো। খুশিতে হেমাঙ্গিনীর মা কুঁচকির ভেতর হাত ঢুকিয়ে দিয়ে ভাত চড়িয়ে মাছ কুটতো, আর সে ভাতের গন্ধে বস্তির অন্যান্য ছেলেরা, যাদের বয়স সাত/আট, তারা না বুঝে কালো পাছা বের করে, একে অপরের পিঠের ওপর লাফ দিয়ে খেলা করতো। গরম ভাতের উপর জ্যান্ত চ্যাং-এর পেটি। উল্লাস। সে কী উল্লাস। সে কেবল হেমাঙ্গিনীই জানে। জানে, গরম উনুনে ন্যাতানো কলমি শাক কীভাবে গলা গলিয়ে পেটের নাড়িতে পেঁচিয়ে যায়।
এখন হেমাঙ্গিনীর সকল মনোযোগ সাপের পেটটার দিকে স্থির।
হেমাঙ্গিনী অবাক হয়ে দেখলো, শুধু ভয়েই নয়, সাপের পেটের দিকে সে তাকিয়ে আছে লোভাতুর দৃষ্টিতে।
হেমাঙ্গিনীর প্রার্থনার দশ আঙুল তখন আরশ-এর গায়ে দ্যুতিহীন জলছাপের স্থিতিকাল। নিজের ছায়া আগত প্রবাহের মতো অজ্ঞেয় মনে হলো হঠাৎ। মুহূর্তকালের উগ্র অসহায়ত্ব তাকে গ্রাস করে কোথায় যেন কড়াৎ ছিঁড়ে গেলে টের পেলো হেমাঙ্গিনী। এ-বিষাক্ত প্রাণীর ওপর আকস্মিক স্নেহের ঢেউগুলো স্নায়ুসমুদ্রে ফুলে উঠে গুমোট ক্রন্দনে আসক্ত হলেও, তার শরীরের প্রতিটা শিরার ভেতর অস্বস্তির অপর এক অন্ধশক্তির আচরণ জাগ্রত হলো…
অদ্ভুত? আর অদ্ভুত হেমাঙ্গিনীকে আমি এখন সাহস যোগাই। ক্ষুধা ও আতংকে হেমাঙ্গিনী মৃত্যু-ভয়ে সাহসী হয়ে গোলপাতার ভেতর কালো মাথার সঠিক অবস্থান নির্ণয় করে হঠাৎ ডাইনি যখন, তখন তার নাকের ওপর দুটো মশা সঙ্গমে বিভোর হলো শূন্যে উড়ে উড়ে। গোলপাতার ভেতর সাপটা টানটান দৃশ্যগত অনমনীয়তা একবার দেখিয়ে দিলে লেজ এবং হেমাঙ্গিনী সতর্ক হয়ে মৃদু নড়লো। তারপর হেমাঙ্গিনী শোয়া থেকে মাটিতে বসলো, আস্তে নড়লো, লেজও নড়লো। হেমাঙ্গিনী ঘাড় নাড়ালে লেজ নড়াও ঈষৎ বন্ধ হলো :
হেমাঙ্গিনী বুঝলো তার গতিবিধি সাপটা লক্ষ করছে।
বিজ্ঞান বলে : সাপ মাঝে মাঝে খোলস ছাড়ে।
সূর্যের বয়স শত-শত কোটি বছর।
অফেন্সকে বেস্ট ডিফেন্স বলা হয়।
হেমাঙ্গিনী ক্ষিপ্রকারী মুহূর্তে মরিয়া হয়ে বাম হাতের বৃদ্ধাঙুল ও তর্জনীর মূল সহায়তায়, ছোবলে, এক ঝটকায় গোলপাতা থেকে সাপটাকে টেনে আনলো। তার হাতের ভেতর জমাট বরফের ঝটপটানি চরম ক্রুদ্ধতায়।
সে-সময় কাকশিয়াল নদীর পানিতে অবিরাম স্রোত। স্রোতের ওপর সকালবেলা গগন পাল নিজে ডিঙি চালিয়ে ওপারে উঠতো। হাতে একটা বাক্স—বৃত্তাকার সরু শিকে ঝোলা অসংখ্য পিতল ও লোহার চাবি। গগন সারা জীবন ধরে আড়াই হাজার তালা খুলে ছয় হাজার চাবি বানিয়েছে বলে লোকজনকে বলতো। হেমাঙ্গিনী প্রায়শই ওকে দেখতো খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে। গগন দয়া করে হেমাঙ্গিনীকে বৈধ সন্তান বানাবে ভেবে জন্ম দিয়েছিলো। এ-ঋণে মা কতোদিন গগনকে শ্রদ্ধা করে গেলো। বাপ গগন তাকে, একদম ছোটবেলায়, গোটা তিনেক কমলালেবু কিনে দিয়েছিলো।
ইতোমধ্যে ওটা সারা শরীর দিয়ে বারকয়েক হেমাঙ্গিনীর সমগ্র বাম হাত পেঁচিয়ে ধরতে চাইলো। হেমাঙ্গিনীর খুপরিতে মাটির চুলোর গভীরে আগুন জ্বলে, মুষ্টিসুদ্ধ টাটকা সাপ তাই আগুনের বেশ ভেতরে ঢুকিয়ে দিয়ে সে অপেক্ষা করলো।
সাপ-পোড়া গন্ধে সবাই উদ্গ্রীব থাকে—দুপুরবেলা সে রাস্তায় দেখলো — সরকার গাড়িতে বসে মাইকে বলছে—কালো ধোঁয়ার গন্ধে অথবা জোরালো শব্দে হৃৎপিণ্ড খিঁচিয়ে যায়—খিঁচিয়ে যায়। কিন্তু শব্দহীন হেমাঙ্গিনী সে কথা মানে না — প্রচণ্ড ঝোড়ো শব্দে অনেক অবিদ্ধ মগজ ফেটে যাক। চৌচির হোক।
প্রায় আধঘণ্টা পর পোড়া কাঁচকলার মতো সিদ্ধ সাপ হেমাঙ্গিনী পেট পুরে খেতে খেতে ভাবলো — ভয়ঙ্কর সাহসী হলেই খেতে পাওয়া যায়।
এটা শঙ্খচূড়।
এর গলা পর্যন্ত খাওয়ায় তার দাঁতে ও মুখে বোঁটকা গন্ধ এবং মাংসের আঁশ। মুষ্টির বাইরে বেরিয়ে রয়েছে মাংসল অল্পাংশ।
সে ওই শেষ অংশটুকু দাঁতে কেটে গালে লবণ ছিটিয়ে, অতি ধীরে চিবিয়ে চিবিয়ে খেলো।
পুরো সাপটাই সে একবারে খেয়েছে : তার হাতের আঙুল ও চেটোর ভেতর এখন রয়েছে কেবল দাঁতে-কাটা নিখুঁত মুণ্ডু। হেমাঙ্গিনী কাটা মুণ্ডুটা মাটিতে ফেলে দিয়ে, দগ্ধ হাত নিয়ে, ঠাণ্ডা মাটিতে বহুদিন পর ঘুমুতে চাইলো পরম নিশ্চিন্তে।
… সেই ঘুমের ভেতর হেমাঙ্গিনী জেনে গেলো, কাটা উরঙ্গের মুণ্ডুটা, হেমাঙ্গিনীর মাথা থেকে পা পর্যন্ত এক পাক ঘুরে, জাজ্বল্যমান খুপরি ছেড়ে বেরিয়ে গেলো নিঃশব্দে।
পত্রিকা: সংবেদ। গ্রন্থভূক্ত: কাটা সাপের মুণ্ডু
